কুমিল্লার তিতাসের ১নং সাতানী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মাঈন উদ্দীন সিকদার দলের দুঃসময়ের এক নিবেদিত মাঠের কর্মী। দলের ডাকা প্রতিটি আন্দোলন- সংগ্রাম ও মিছিল- মিটিং কীংবা সভা- সমাবেশে সক্রিয় থেকে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রূখতেন এই মঈন উদ্দীন সিকদার।
সে সাতানী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের চরকুমারিয়া গ্রামের বাসিন্দা।একজন শিক্ষিত ও মার্জিত প্রকৃতির মানুষ হিসেবে মঈন উদ্দিন সিকদার এলাকায় সমাদৃত বলে জানা গেছে। জানা যায়,তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে। সে SSC A+ এবং HsC A+ ও Bss অনার্স এবং mss মাস্টার্স( রাষ্ট্রবিজ্ঞান)ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় ৭ টি কলেজের মধ্যে কবি নজরুল কলেজ থেকে এবং পাশাপাশি মাদ্রাসা বোর্ড থেকে দাখিল আলিম ফাজিল সফলতার সাথে তিনি উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় হলো:তাঁর রাজনীতি শুরু হয় সাতানী ইউনিয়নের ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে দিয়ে। তার পরে ২০১৭ সাল থেকে ২০২৫ পর্যন্ত সাতানী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি
২০১৪ সালে কবি নজরুল কলেজের ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী এবং সদস্য ছিলেন। তিনি দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০১৮ সালে আওয়ামী স্বৈরাচারের দায়েরকৃত একাধিক মামলা শিকার হয়ে রাজনৈতিক ভাবে হয়রানির শিকার হয়ে ছিলেন। তাঁর পেশাগত পরিচয়:বর্তমান তিনি সারা বাংলাদেশের প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মতো স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানের নাম্বার ওয়ান ডিলার এবং কুমিল্লা শহরে
রয়েছে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।তিনি ২০১১ সাল থেকে ব্যবসায় জড়িত হলে ২০১৯-২০ সালে আওয়ামী লীগের তাণ্ডব লিলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রেখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
মঈন উদ্দীন সিকদার কাঠালিয়া মডেল স্কুল নামে একটি স্কুল দীর্ঘদিন পরিচালনা করেছিলেন এবং কাঁঠালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন বিনা বেতনে শিক্ষকতা করেছেন তিনি।এবং স্কুলের দুর্দিনে বিভিন্ন মানুষদের কাছ থেকে হাতে পায়ে ধরে টাকা চেয়ে এনে স্কুলকে পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।তিনি নিজে থেকেই স্কুলের অনেক উন্নয়নমূলক কাজে সব সময় অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া তিনি সাতানী ইউনিয়নের একাধিক মসজিদ-মাদ্রাসা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থ ব্যয় করেছেন। এছাড়া এলাকার অনেক অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গোপনে।
সম্প্রতি সাতানী ইউনিয়নের বিএনপির দ্বি বার্ষিক কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন মঈন উদ্দীন সিকদার। তিনি দলীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন এবং দলের নেতৃবৃন্দরা যে, সিদ্ধান্ত দিবেন সেই সিদ্ধান্ত তিনি মাথা পেতে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।