কুমিল্লা জেলা তিতাস উপজেলা কড়িকান্দি ইউনিয়ন বন্দরামপুর গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল মো:মনু মিয়া গত ৭ এপ্রিল কড়িকান্দি থেকে দাউদকান্দি গৌরিপুর বাজারে যেতে সিএনজি দূঘাটনায় পায়ে আঘাত পেয়ে দাউদকান্দি গৌরিপুরের ডা:হুমায়ুন কবিরের নিকট যাই।
হসপিটালে যাওয়া মাত্র আমার পা এক্সে করা হয়।
এক্সে করার পর আমাকে ঔষধ লিখে দেয় আমি ঔষধ নিয়ে আর আসার সময় জিঙ্গাসা করলে আমার পায়ে কোন সমস্যা হয়েছে। তখন ডা:হুমায়ুন কবির বললেন আপনার তেমন কোন সমস্যা হয় নাই।
এরপর আমি বাড়িতে চলি আসি।
ঔষধ খেয়ে দেখি আমার পা সমস্যা আরো বেড়ে যাচ্ছে।
আবার আমি ডাক্তারের নিকট গেলে আমি বলি আমাকে রাজাবাগ লেফার করেন।তিনি উত্তর দিলেন টাকা কি বেশি হয়ে গেছে।
তখন ডাক্তার বলল আপনার তেমন সমস্যা নাই আমি এক্সে রিপোর্ট দেখেছি।
আবারো মনু মিয়া বাড়িতে চলে আসে।
তারপর কিছুদিন যাওয়ার পর সমস্যা আরো অবনতির দিকে।আবারো ডা:হুমায়ুন কবিরের নিকট গত ২৪ এপ্রিল গেলে ডাক্তার একই কথা বলে সব ঠিক আছে সমস্যা নাই।মনু মিয়া কাকতি মিনতি করে বললে সে নিজেই আমাকে রাজারবাগ রেফার করিলে সেখানে আমি চলে যাই।
সার্জেরিস ডক্টর আহমেদ আমারে এক্সে রিপোর্ট দেখে বলে আপনি এতো দেরিতে আসলেন কেন? আপনার পা অনেক সমস্যা।
মনু মিয়া বলল সার আমাকে গৌরিপুরের ডা:হুমায়ুন কবির চিকিৎসা করেছেন তিনি বলছে কোন সমস্যা নাই।
কিন্ত আপনার রিপোর্ট আর ঔষধ দেখে বুঝা যাচ্ছে ভূল ঔষধ দেওয়া পায়ে আরো সমস্যা বেড়ে গেছে।
আমি যদি আপনার পা প্লাস্টার করাই ভালো হতে পারে আবার যে কোন সময় পা কেটে দিতে হবে। কারণ ঔষধের রিয়েকশন পায়ের ভাঙ্গার ভিতরে যাওয়ায় পায়ের ভিতর পচন আর রক্ত চলাচল ৭০% বন্ধ।
অবশেষে দাউদকান্দি উপজেলা গৌরিপুর বাজারের অর্থপেডিক্স বিশেষজ্ঞ ডা:মো:হুমায়ুন কবিরের ভূল চিকিৎসায় পা হারোনো লক্ষণে অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কনষ্টেবল মো:মনু মিয়া বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় অভিযোগ দ্বায়ের করেছেন ও অনুলিপি জমা দিয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার’সহ দেশের বিভিন্ন দপ্তরে।
তিনি বলেছেন যারা এই ডা:হুমায়ুন কবিরের ভূল চিকিৎসার খপ্পরে পড়েছেন আমার সাথে যোগাযোগ করবেন এবং তাহার নিকট না যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন।