বিশেষ প্রতিনিধি
মানুষ মানুষের জন্যে, জীবন জীবনের জন্যে, একটু সহানূভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু ! সমাজে কিছু মানুষ রয়েছে
যারা বিপদে নিজের সবটুকু দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায়, সাহায্য-সহানুভূতি দিয়ে অসহায় দুস্থ্যদের কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা করে। আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত থাকা কিছু মানবিক মানুষের মধ্যে অন্যতম একজন পিরোজপুর জেলার, ভান্ডারিয়া উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী মোঃ ফজলুল করিম (মিঠু) মিয়া।
তিনি পেশায় একজন
ব্যবসায়ী, নেই কোন রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ততা, তিনি একজন সমাজসেবক এবং মানব সেবায় নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছেন। ভয়াবহ করোনা সংক্রমনের সংকট কালীন সময়ে তিনি অসহায়, দুস্থ, কর্মহীন, শিশু, প্রতিবন্ধী এবং ঘরবন্দী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি নিজে গিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন খাদ্যদ্রব্য, ত্রাণ সামগ্রী। অসহায় হত-দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা, ডেলিভারি রোগী সহ বিভিন্ন চিকিৎসার জন্য সর্বদা আর্থিক সাহায্য করে থাকেন।
অসহায় মানুষের ঘর নির্মাণের জন্য ঢেউটিন ও নগদ অর্থ প্রদান করে গৌরীপুর ইউনিয়নবাসীর কাছে স্থান করে নিয়েছেন অসহায় মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে।
তিনি নিজ অর্থায়নে অসংখ্য মসজিদ মাদ্রাসা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন পাশাপাশি স্কুল কলেজ মাদ্রাসার গরিব শিক্ষার্থীদের বই খাতা পরীক্ষার ফরম পুরনের ফি প্রদান করে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রেখে গৌরীপুর ইউনিয়ন মানুষের কাছে স্বীকৃতি পেয়েছেন শিক্ষানুরাগী।
এ প্রসঙ্গে মো. ফজলুল করিম মিঠু মিয়া বলেন, “আমি মানুষের সেবায় সর্বদা তাদের পাশে দাঁড়াই। আমি মানুষের কল্যাণে বিপদে-আপদে তাদের পাশে দাঁড়াই শুধুমাত্র মানবকল্যাণের জন্য, আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য, আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন আমার সবটুকু দিয়ে আমি বাকিটা জীবন মানুষকে সাহায্য সহযোগিতা করে যাব ইনশাআল্লাহ।
মো. ফজলুল করিম মিঠু মিয়ার বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন মিঠু মিয়া একজন উদার মনের মানুষ তিনি সর্বদা গৌরীপুর ইউনিয়নের মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছেন।
মো. ফজলুল করিম মিঠু মিয়ার মত মানুষকেই ইউনিয়নবাসী গৌরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়। কারণ তিনি এমনিতেই সকল প্রকার উন্নয়নমূলক কাজে আর্থিক সহযোগিতা করে থাকেন পাশাপাশি তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হলে গৌরীপুর ইউনিয়নকে বাংলাদেশের একটি অন্যতম উন্নত ও মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।
ইউনিয়নবাসীর এ আশা আকাঙ্ক্ষার বিষয়ে মো. ফজলুল করিম মিঠু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি মানুষের কল্যাণে সাহায্য সহযোগিতা করি এ কাজের পথে অনেকে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, আমাকে নিয়ে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম চালায়। আমি আপনাদের গণমাধ্যমের মাধ্যমে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি সারা জীবন মানুষের সেবায় কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ। গৌরীপুর ইউনিয়নবাসী যদি আমাকে যোগ্য মনে করে এই গুরুদায়িত্ব দিতে ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে বিষয়টি আমি ভেবে দেখব এবং তাদের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।