কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি,মো:হানিফ মিয়া
কুমিল্লার তিতাসের সাতানী ইউনিয়ন বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ডি এম রাসেল মেম্বার
দলের এক দুর্দিনের লড়াকু সৈনিক বলে জানান তৃণমূল নেতাকর্মীরা।তাঁকে সাতানী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায়, তিনি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক সফল মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন স্যার ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং পাশাপাশি তিনি তিতাস উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওসমান গনি ভূইয়া ও সদস্য সচিব মেহেদী হাসান সেলিম ভূইয়ার প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।জানা যায়, উপজেলার সাতানী ইউনিয়নের দুর্লভদী গ্রামের এক সুনামধন্য ফ্যামিলিতে জন্ম গ্রহণ করেন ডি এম রাসেল মেম্বার।তাঁর বাবা মমিনুল হক মনু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই গ্রাম সরকার প্রধান হয়েছিলেন।সেই থেকেই তিনি বিএনপিকে পছন্দ করেন এবং দলের প্রতি অগাধ বিশ্বাস জন্মায় তাঁর। সেই বিশ্বাস বুকে ধারণ করে দলের জন্য মাঠে কাজ করে শুরু করেন ডি এম রাসেল মেম্বার।তাঁর পুরো পরিবারসহ আত্মীয়-স্বজনেরা বিএনপির রাজনীতিতে বিশ্বাসী।বলরামপুর ইউনিয়নের মরহুম মতিউর রহমান মুক্তি চেয়ারম্যান,বলরামপুর ইউনিয়ন বিএনপির নব-নির্বাচিত সভাপতি মোজাম্মেল হক মজনু পাঠান,গাজীপুর গ্রামের কৃতিসন্তান ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান সাঈদ তাঁর আত্মীয় বলে জানা গেছে। তিনি সাতানী ইউনিয়নের দুর্লভদী গ্রামে মেম্বার নির্বাচিত হোন এবং একবার সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ডি এম রাসেল মেম্বার। এছাড়া একবার প্যানেল চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
২০১৪ সালে সাতানী ইউনিয়নের দুর্লভদী ওয়ার্ডে জণগণের বিপুল ভোটে মেম্বার নির্বাচিত হয়েও আ.লীগের দায়েরকৃত ৭ টি রাজনৈতিক হয়রানি মূলক মামলার আসামি হওয়ার কারণে ডি এম রাসেল মেম্বার শপথ গ্রহণ করতে পারেন নাই অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সাথে এবং তাঁর শপথ গ্রহণ ৬ মাস পর্যন্ত আটকে রেখেছিলো ততকালীন আ.লীগের সরকারের দোসররা।তাঁর বিরুদ্ধে আ.লীগের দায়েরকৃত ৭ টি মামলা আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে ক্লোজ করে তাঁরপর তিনি শপথ গ্রহণ করতে হয়েছে। তখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন সালাহউদ্দিন সরকার।দলের জন্য নিজের জীবন বাজী রেখে মাঠে কাজ করায় তাঁকে সাতানী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়। এরপর তিনি সাতানী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হোন। দলের ডাকা আন্দোলন- সংগ্রাম ও মিছিল-মিটিং এবং সভা-সমাবেশে সক্রিয় থাকায় পুরান বাতাকান্দি পুলিশের ওপর হামলা ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়। এছাড়া আ.লীগের দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলে একাধিক রাজনৈতিক মামলার আসামি হয়ে হয়রানির শিকার হয়ে ছিলেন ডি এম রাসেল মেম্বার।তিনি বিএনপির রাজনীতি করার কারণে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে আ.লীগের শাসনামলে সরকারি বরাদ্দ না পাওয়ায় নিজের পকেটের অর্থ দিয়ে মহামারী করোনা ভাইরাসের সংকটকালীন সময়ে তাঁর নির্বাচনী এলাকার ঘরবন্দী মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি।

এছাড়াও তিনি প্রতি ঈদে নিজের নির্বাচনী এলাকার মানুষের মধ্যে ঈদসামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করে থাকেন। এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় ২০০ টি পরিবারের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দুর্লভদী ওয়ার্ডের মেম্বার ডি এম রাসেল মেম্বার।তাঁকে ১ নং সাতানী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায়, তিনি সাতানী ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং সুখে দুঃখে তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।