স্টাফ রিপোর্টার: সাহাবুল আলম
নাটোরের বড়াইগ্রামের বাগডোব গড়িলা বিলে কাবিখা প্রকল্পের মাটি কাটার সময় ধসে পড়া গর্তে চাপা পড়ে নিহত হয়েছে মোস্তাকিম আহমেদ (১০) নামে এক শিশু। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর শিশু সাকিব হোসেন (১২) এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এলেও প্রশ্ন উঠছে—কেন ভেকু মেশিন দিয়ে কাবিখার কাজ করা হচ্ছিল? নিয়ম তো বলছে, এসব প্রকল্পে স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো বাধ্যতামূলক।
বড়াইগ্রাম ইউপি সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস রূপসী বাংলাকে বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। একজন শিশুর প্রাণ চলে গেছে, আরেকজন মৃত্যুর সাথে লড়ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছি। ভেকু ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিষয়টি তিনি তদন্ত করছেন।”
এদিকে বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন রূপসী বাংলাকে জানান, নিহত শিশুর পরিবার কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ফলে আইনি প্রক্রিয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাবিখা প্রকল্পে নিয়মবহির্ভূত ভেকু ব্যবহারের বিষয়ে আগে থেকেই প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল, কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এই ঘটনায় কেবল একটি প্রাণ হারায়নি, হারিয়েছে একটি পরিবার তার ভবিষ্যৎ।
রূপসী বাংলা টেলিভিশনের পক্ষ থেকে আমরা জানতে চাই—সরকারি প্রকল্পে যদি নিয়ম ভেঙে ভেকু চলে, আর তার দায় কেউ না নেয়, তাহলে ভবিষ্যতে আর কত মোস্তাকিমের প্রাণ যাবে?
এই প্রশ্নটা রইল সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এবং আমাদের সমাজের কাছে।