নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর ১ নং ওয়ার্ডের মৃধাবাড়ি এলাকার একটি জঙ্গল থেকে আজ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন আব্দুল বারেক শেখ নামের ওই ব্যক্তি, যিনি স্থানীয় সাত্তার মৃধার বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন
সকাল ৯টার দিকে দক্ষিণ পানিশাইল এলাকার জঙ্গলে স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশকে খবর দেয়।
সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু নাসের আল আমিন জানান, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করি।
তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে”
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আজ সকালে জঙ্গলে লাশ পড়ে থাকতে দেখে আমরা পুলিশকে খবর দিই।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, “মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত চললেও এলাকায় এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
গাজীপুরে সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। গত কয়েক মাসে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিক মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে:
গত ফেব্রুয়ারিতে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের ভিটিপাড়া এলাকার জঙ্গল থেকে এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়
– একই মাসে শ্রীপুর উপজেলার দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকার জঙ্গল থেকে রাশিদা খাতুন (৪২) নামের এক পোশাক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুর সদর উপজেলার রুদ্রপুর এলাকার গজারি বন থেকে অটোরিকশা চালক রাসেল বেপারীর (১৪) লাশ উদ্ধার করা হয়
আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “গাজীপুরে সম্প্রতি জঙ্গল ও নির্জন স্থানে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনা বেড়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক কলহ, প্রেমঘটিত বিষয় বা আর্থিক জটিলতা পেছনে কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আব্দুল বারেক শেখের মৃত্যুর কারণ এখনো অজানা থাকায় এলাকায় ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অনেকেই রাতের বেলা একা বের হতে ভয় পাচ্ছেন। পুলিশ আশ্বস্ত করেছে যে দ্রুততম সময়ে তদন্ত সম্পন্ন করে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করা হবে
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও পুলিশের তদন্তের ফলাফলই বলতে পারবে আব্দুল বারেক শেখের মৃত্যুর পেছনের সত্যি কারণ কী।
তবে গাজীপুরে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।