নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর
নারী-শিশুসহ আহত ৬, নগদ অর্থ ও মালামাল লুটের অভিযোগ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বামনগড় (মহাজেরপুর) গ্রামে চাঁদার টাকা না দেওয়ায় এক বসতবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা বসতঘর ভাঙচুর করে নগদ অর্থ ও মালামাল লুটে নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন গৃহকর্তা দুলাল হোসেনের স্ত্রী, ছেলে ও আত্মীয়রা। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং বাকিদের নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী মো. দুলাল হোসেন (৩৬) জানান, প্রায় ১৫ বছর আগে বন বিভাগের প্রায় ১৫ শতক জমি স্থানীয়ভাবে বন্দোবস্ত নিয়ে তিনি বসবাস শুরু করেন। এর পর থেকে এলাকায় বসবাস করে আসছেন।
তার দাবি, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার সাইরুদ্দিন ও শরিফ উদ্দিন তার কাছে নিয়মিত চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ওই দুইজনসহ আরও বেশ কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে হামলা চালান।
গত ১২ জুন রাত আনুমানিক ১২টা ৩০ মিনিটে শরিফ উদ্দিন (৪০), তার পিতা মোঃ সুজাত উদ্দিন, সাইরুদ্দিন (৬৫), আব্দুল সালাম (৩৮), লালন মিয়া (৩৫), মিজানুর রহমান (২৮), আল আমিন (১৯), লিমন ইসলাম (১৭) এবং অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জন দলবদ্ধভাবে তার বাড়িতে হামলা চালান বলে অভিযোগ দুলালের।
হামলাকারীরা বাড়ির আঙিনায় প্রবেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। বাধা দিলে দুলালের স্ত্রীকে মারধর করে। তার ছেলে নবীনুল ইসলাম (১৫) মাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও লাঠি ও গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়।
পরবর্তীতে দুলালের আত্মীয়—মামা দৌলত মিয়া, আলম মিয়া, সুরুজ মিয়া, ভাগিনা আব্দুল আউয়াল ও ছোট ভাই আলাল মিয়া এগিয়ে এলে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।
দুলাল হোসেন আরও জানান, হামলার সময় ঘরের টিনের চাল ও বেড়া ভেঙে প্রায় ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি করে হামলাকারীরা। একই সঙ্গে ঘরের ভেতরে রাখা নগদ ৫০ হাজার টাকাও লুটে নেয় তারা।
এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল মতিন মুঠোফোনে জানান, “এটি জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”