উৎপল ঘোষ,ক্রাইম রিপোর্টার
রোববার (১৫ জুন) অভয়নগর উপজেলার ভৈরব উত্তর -পূর্ব জনপদের নির্জন পল্লীর ৮নং সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের নাউলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন একটি মাছের ঘেরের পাড় থেকে হাসান শেখ(৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।নিহত হাসান শেখ অভয়নগর উপজেলার নাউলি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছোট ছেলে। এই ঘটনায় অভয়নগর থানা পুলিশ সন্দেহজনক দুইজনকে হেফাজতে নিয়েছে।
জানা যায়,নিহত হাসানের বড় ভাই এম মুন্না শেখ বলেন, ২০১৮ সালে কুয়েতে চলে যায় হাসান। সেখানে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কাজ করত। দীর্ঘ ৭ বছর পর ৪ মে বাড়ি ফিরে বিয়েও করেছে। ৬ মাস ছুটির ৪ মাস শেষ হয়েছে।২ মাস পর কুয়েতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তার। ঘটনার দিন শনিবার রাত আনুমানিক প্রায় ১১টা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে বাড়ির পাশে আড্ডা দিয়েছে হাসান। এর পর থেকে নিখোঁজ ছিল সে।
রবিবার সকালে স্জাথানীয় লোক জনের মাধ্যমে জানতে পারি ভাইকে দূর্বৃত্তরা গলা কেটে খুন করা হয়েছে। তার মরদেহ মাছের ঘেরের পাড়ে পড়ে আছে। ওর তো কোনো শত্রু ছিল না। অথচ তাকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এই হত্যার সঙ্গে যারাই জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। তিনি আরও বলেন, আমার ভাই সহজ সরল এবং ভালো মানুষ ছিল। সে সবার সাথে সুন্দর ভাবে মিশতো। কিছুদিন যাবত এসে বাড়ির আশপাশের কয়েকজন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিত। তার তেমন কোন শত্রু ছিল না। তবে অর্থনৈতিক লেনদেন থাকতে পারে। যে কারণে তাকে হত্যা করতে পারে। তবে কয়েকদিন কিছু লোকের সাথে মেলামেশা করছে তারা কেউ ভালো লোক ছিল না।এলাকায় চলছে শোকের ছায়া।মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম জানান, পূর্ব শত্রুতা কিংবা পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে স্থানীয় দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।