গতকাল ১৭ জুন সকাল অনুমান ০৯.৪৫ মিনিটের সময় নগদের ডিস্টিবিউটর রবিউল ইসলাম একটি প্রাইভেটকার যোগে যশোর শহর হতে মণিরামপুরে যাওয়ার পথে কুয়াদা জামতলা নামক স্থানে পৌঁছালে তাদের পিছন দিক হতে দুটি মোটরসাইকেল যোগে আসা অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি ধারালো চাপাতি’সহ প্রাইভেটকারটির গতিরোধ করে।একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা মোটরসাইকেল হতে নেমে প্রাইভেটকারের গ্লাস ভাংচুর করে এবং তাদের সাথে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে প্রাইভেটকারের ভিতরে থাকা ডিস্টিবিউটরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে নগদ হাউজের টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ভিকটিম রবিউল ইসলাম জানান,আমি জাতীয় জরুরী পরিসেবা ৯৯৯ এ কল করে ঘটনার বিষয়ে জানালে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে।
ঘটনাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর হওয়ায় যশোর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের নেতৃত্বে মনিরামপুর থানা পুলিশ, ডিবি ও সাইবার ক্রাইম টিম ঘটনার রহস্য অনুসন্ধান সহ জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার অভিযানে নামে।
একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থল সহ অন্যান্য তথ্য প্রমাণ অনুসন্ধান এবং পুলিশি কলাকৌশল প্রয়োগ করে ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
এরপর ডিবি সহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম আসামিদের গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে জড়িত আসামি সাগর হোসেন(২৪)কে ঝিকরগাছা থানাধীন খোষালনগর এলাকা হতে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজত থেকে ছিনতাইয়ের সময় ব্যবহৃত একটি RTR মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ জব্দ করে।
তারপর ডিবি পুলিশ আসামি সাগর-কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং অন্যান্য আসামীদের নাম প্রকাশ করে। তার দেওয়া তথ্যমতে অন্যান্য আসামিদের ধরতে জেলার বিভিন্ন স্থানে গ্রেফতার অভিযান চালিয়ে আরো ছয়(০৬) জন আসামিকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে।
পরবর্তীতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা নগদের টাকা বহনকারী প্রাইভেটকার চালক ইউসুফ আলী ওরফে সাজু(৩১) এর সাথে যোগশাজোসে পরিকল্পিতভাবে ছিনতাই করেছে।