কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি,মো:হানিফ মিয়া
কুমিল্লা জেলা তিতাস উপজেলার ৬ নং ভিটিকান্দি ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড দুলারামপুর গ্রামের মরহুম মনু মিয়ার ছেলে উসসামাদের স্ত্রী সায়েমা আক্তার(২৮) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টা মধ্যে গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা
করেছে।
নিহত সায়েমা আক্তারের দুটি সন্তান আছে।একজন ৬ বছরের মেয়ে আর ৪ বছরের একজন ছেলে।
তথ্যমোতাবেক জানা যায়,স্বামী হুসছামাদ সকালে ঘুম থেকে আনুমানিক সাড়ে ৭ টার পর বাজার করতে চলে যায়।
বাজারসদাই নিয়ে যখন বাড়িতে আসে তখনই দেখতে পায় ভিতর থেকে দরজা নক করা।
তখনই তৎক্ষণাৎ বাড়ির কক্ষের উত্তর পাশের জানালার থাইয়ের একপাট খোলা ছিল।
তখনই হুসছামাদ দেখতে পেল ওপরের পাকার সাথে ওন্না পেছিয়ে ঝুলে আছে।তারপর এলাকাবাসী এই বিষয়টি জানতে পেরি অনেক লোকজন এসে ভিড় জমিয়েছে।
সাংবাদিক তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ও উত্তর পাশের জানালার একপাট খোলা ছিল এবং পাকার সাথে ওন্না বেধে গলায় ফাসি অবস্থা দেখা যায়।
নিহত সায়েমার স্বামী হুসছামাদ সাংবাদিকদের জানায়,আমি দেশে থাকি,আমি রাজমিস্ত্রির একজন কন্ট্রেকটর আমার স্ত্রী এনজিও থেকে না জানিয়ে ৫০ হাজার টাকা তুলে আর অন্যান্য লোকদের নিকট থেকে আনুমানিক ২০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৭০ হাজার টাকা দেনাদার হয়।
এই বিষয়ে আমি জানতে পারি তারপর আমার বাড়ির লোকজন জানিয়ে রাখি এবং সায়েমার মাকে জানানো হলে তারা এ ব্যাপারে কোন কিছু দায়িত্ব নেবেনা জানিয়েছেন।
কিছুদিন যাবত আমাকে সায়েমা বলে দুইজন সন্তানসহ আমি ফাসিঁ দিয়ে নিজে মরবো।
বার বার একথা বলাতে হুসছামাদ তিতাস থানায় গতকাল ২৩ জুন একটি অভিযোগ দ্বায়ের করিলে পুলিশ সরজমিনে এসে সায়েমাকে টাকার সম্পর্কে জিঙ্গাসা করা হলে সে টাকার কোন হিসাব সম্পর্কে বলতে পারিনি।পুলিশ বলে গিয়েছে বসে একটি সমাধান করার জন্য।
তারপর ২৪ জুন মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক সাড়ে আটটার মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
এই বিষয়টি তিতাস থানা ওসি মু.শহীদুল্লাহ কে জানানো হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।
এএসআই কমল এসে ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল এবং জানালার একপাট খোলা ছিল।
নিহত সায়েমা আক্তার(২৭) কে ঘরের ভিতর থেকে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলে মেয়ে মা রেখা বেগম ও তাহার স্বামী আসিলে অভিযোগ করে আর মেয়ের ক্ষত আছে কিনা দেখতে চায়।
পুলিশ বতর্মান যে অবস্থায় মরদেহ পেয়েছে তাহার বিবরণ দেখানো হয়েছে।
বিষয়টি অন্য দিকে নেওয়ার চেষ্টা করিলে সরজমিনে তিতাস ওসি মু.শহীদুল্লাহ নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে মরদেহ কুমিল্লা পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেছেন,তদন্দ সাপেক্ষে সঠিক তথ্য বের করা হবে।