মো: আসিফ ইসলাম
পঞ্চগড় জেলা বোদা উপজেলা প্রতিনিধি।
পৌষ-মাঘ দুই মাস নিয়ে শীতকাল হলেও প্রকৃতির পরিবর্তনের কারণে পঞ্চগড়সহ সারাদেশে মাঘ মাসেই শীত বেশি অনুভূত হয়। পৌষের হাড় কাঁপানো হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো পঞ্চগড়ের জেঁকে বসা পৌষের হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার জনজীবন। হিমেল বাতাসের সাথে চলছে কুয়াশার দাপট। রাতে ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে কস্ট করে। প্রয়োজন ছাড়া ঘড়ের বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া লোকজন।
তেতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানান আজকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ১১.৯° ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস আরো জানায় আরো কয়েকদিন শৈত্য প্রবাহ থাকবে। গত ০৩ (তিন) দিন থেকে পঞ্চগড় জেলায় কোথাও সূর্যের আলো দেখা যায়নি। সন্ধ্যা হলে কুয়াশার সঙ্গে শিশির পড়তে দেখা যায়। ভোর থেকে কুয়াশায় ঢেকে যায় পঞ্চগড়। বৃষ্টির মত শিশির পড়ে।
জীবন জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো ঘড় থেকে বের হলেও অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে পঞ্চগড় জেলার মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করতেছে। বোদা পৌরসভার নাজির পাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বোদা পৌর আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আফছারুল ইসলাম জানায়, অতিরিক্ত ঠান্ডা এবং ঘন কুয়াশার কারণে শ্রমজীবী, ভ্যান চালক, দিনমজুর মানুষেরা মনবেতর জীবন যাপন করতেছে। তিনি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। বোদা কলেজপাড়া গ্রামের ভ্যান চালক মোঃ আমিনুল ইসলাম জানায়, কুয়াশা এবং অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে অনেকেই ভ্যানে চড়তে চায় না, আগে সারাদিন ভ্যান গাড়ি চালিয়ে আমি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ইনকাম করতাম কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশার কারণে ১০০ টাকাও ইনকাম করতে পারছিনা। শীত নিবারণের জন্য ভালো মানের পোষাক বা কম্বলের দাম সাধ্যের বাইরে। যেখানে পরিবারের ভরণ পোষণ করাটাই কষ্টদায়ক সেখানে বাড়তি যোগান দেয়া আমাদের মত নম্ন আয়ের মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আমি আমার পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে আছি।
বোদা উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, মোঃ লুৎফুল কবির জানায়, অতিরিক্ত ঠান্ডার কারণে হার্ট অ্যাটাক, স্টক, ডায়রিয়া, নিমুনিয়া, এজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের রোগী বেড়ে গেছে, এবং ঠান্ডা জনিত রোগী বর্তমানে বোদা উপজেলা হাসপাতালে অনেক বেশি।