মো: লিটন উজ্জামান বিশেষ প্রতিনিধি :-
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর বাজারে আজ বুধবার বেলা একটার দিকে পল্লী বিদ্যুতের কর্তব্যরত লাইন শ্রমিক শাহিন আলম (২৭) এর উপরে বেপরোয়া সন্ত্রাসী হামলা সংঘটিত হয়েছে। সন্ত্রাসী প্রান্ত সহ অন্যান্য সহযোগীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর ভাবে আহত হয়েছে শাহিন আলম। শাহিন আলমের হাতে -পায়ে ও হাতের আঙ্গুল সহ মোট ৫ জায়গায় ধারালো অস্ত্রের কোপে রক্তাক্ত গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শরীরের বেশ কয়েক জায়গায় গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম থাকার কারণে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জখমীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। হাসপাতালে উপস্থিত পল্লী বিদ্যুতের ভেড়ামারা কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ তাদের জখমী স্টাফের সূচিকিৎসার বন্দোবস্ত করবার জন্য দ্রুত এম্বুলেন্স যোগে তাকে রাজশাহী প্রেরণের ব্যবস্থা করেন। পল্লী বিদ্যুতের এজিএম শাহিনুর আলম মৃধা প্রতিবেদককে জানান, পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ লাইনে থাকা বিভিন্ন গাছের ডালপালা কাটার জন্য শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। ঘটনার সময় শ্রমিকদের ভিতরে ঝগড়াঝাটিকে কেন্দ্র করে এই হামলার ঘটনা ঘটে। পল্লী বিদ্যুতের স্টাফ হিসেবে জখমীর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করবার জন্য তারা হাসপাতালে এসেছেন বলে জানান। প্রত্যক্ষদর্শী জিয়া নামের একজন জানান, ওই সময় পল্লী বিদ্যুতের লাইনে গাছ কাটার সময় নিয়োজিত শ্রমিকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন জখমীর শরীরের অন্তত পাঁচটি স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনেরা জানান, অফিসের কাজে নিয়োজিত থাকার সময় তাকে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। তবে কেন ও কি কারনে তার উপরে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে এবং কারাই বা হামলা করেছে এ বিষয়টি এখনো তারা পরিষ্কার নন। তবে প্রান্ত নামে একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহিন আলমকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।
খবর পেয়ে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে ভেড়ামারা হাসপাতালে যায় পুলিশ।
ঘটনার বিষয়ে ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জহুরুল ইসলাম প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, পল্লী বিদ্যুতের স্টাফের উপরে সন্ত্রাসী হামলার সংবাদ তিনি পেয়েছেন। সংবাদ পাওয়ার পরপরই হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। ওসি আরো জানান, যেহেতু ভিকটিমের উপরে ধারালো অস্ত্রের বেশ কয়েকটি আঘাত করেছে এবং এটি বড় ধরনের একটি হামলা তাই ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে নাম ওঠা প্রান্তকে আটকের বিষয়ে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ।
শাহিন আলমের বাড়ি ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগরে বলে জানা গেছে। পক্ষান্তরে হামলাকারী প্রান্তর বাড়ি জুনিয়াদহ হরিপুর বলে জানা গেছে।