শোয়েব হোসেন :
৮ই ফেব্রুয়ারি রোজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিকুঞ্জ ও দক্ষিণখান এলাকায় রাজঊকের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। এলাকাটি রাজউকের ৪/৩ জোনের অধিভুক্ত বলে জানা যায় যা রাজউকের মহাখালী কার্যালয় এলাকার বলে গন্য।
খবরে প্রকাশ, অভিযানের শুরুতে খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ এলাকায় নির্মিত একটি অবৈধ ভবনে তিন লক্ষ টাকা জরিমানা ও মুচলেখা নেয়া হয়। তারপর দক্ষিণখানের আইনুছবাগ এলাকায় লুৎফর রহমান গং এর ভবন উচ্ছেদ করা হয়। ভবনটি একতলা নির্মানাধীন অবস্থায় ছিল।
পরবর্তীতে দেখা যায়, দক্ষিণ খানের আশকোনার আমতলা এলাকায় সদ্য ১১ তলা নির্মিত একটি ভবনের নানান অনিয়ম,ভবন কর্তৃপক্ষের মিথ্যাচারিতা, পূর্ব নির্দেশিত বিভিন্ন বিধান অমান্য ও নানান দাপুটে প্রভাব পরিলক্ষিত হওয়াতে সেখানকার মালিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা সহ মুচলেকা গ্রহণ করা হয়। উক্ত ভবনটির নকশাসহ প্রয়োজনীয় অনুমোদিত কোনো প্রকার কাগজপত্রই তারা উপস্থিত দেখাতে পারেনি বারংবার জানান দেয়া সত্ত্বেও। উক্ত ভবনটির মালিক ১৫৪ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শফিকুল ইসলাম,পিতার নাম – সুলতান নাসির উদ্দিন। উক্ত ভবনের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা সহ রডের অংশ বিশেষ কেটে ফেলাও হয়। ভবনগুলোর নকশা বহির্ভুত বা অবৈধ অংশগুলো সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পাশাপাশি ভবিষ্যতে রাজউকের সকল বিধি-বিধান সঠিক ভাবে পালন করতে বলা হয়। এরই পাশে অবস্থিত আরও একটি অবৈধ ভবনের মালিককে পাওয়া না গেলেও সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারকে উপস্থিত পাওয়া যায়। সেই ভবনেরও বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলা হয়।
জানা গেছে, নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন সমূহ নির্মাণ কিংবা নির্মাণাধীন ঘটনার প্রেক্ষিতে নিয়মিত ভাবেই রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই অভিযান চালানো হয়।উক্ত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুজ্জামান। সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন উক্ত জোনের ইন্সপেক্টর, সহকারি অথোরাইজড অফিসার, অথোরাইজড অফিসার, পুলিশ সদস্য ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ।
ছবিতে জরিমানার রশিদ ও উক্ত মালিক শফিকুল ইসলামকে অভিযানের টিমের সাথে দেখা যাচ্ছে।