আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট)
মোংলা উপজেলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করার লক্ষ্যে সামাজিক, রাজনৈক সাংবাদিক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সূধীজনদের নিয়ে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি এ সভার আয়োজন করে।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, সারাদেশের ন্যায় ভূমিহীনদের জন্য মোংলা উপজেলায় ভুমিহীন ও গৃহহীনদের দুশতক জায়গাসহ পাকা ঘর নির্মানের ব্যবস্থা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ভূমিহীন ও গৃহহীদের ঘর নির্মানের মাধ্যমে বিশ্বের বুকে এক নজির স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরো বলেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে নিরলসভাবে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোংলা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত করা একটা যুগান্তকারী ঘটনা। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করছে বর্তমান সরকার। সরকারের উপহার প্রাপ্ত গৃহে বসবাসরত মানুষের জীবনমানের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে সরকার।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ৫টি ধাপের মোট ১০৫৩টি ঘরের মধ্যে ৮৫৩টি ঘর যাচাই-বাচাই করে ভূমি ও গৃহহীনদের দেওয়া হয়েছে। বাকি ২০০টি ঘরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভুমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে বাকি ২০০ ঘর প্রদানের মাধ্যমে এ উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন এ কর্মকর্তা। ঘর উপহার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পৃথিবীর মধ্যে নমুনা সৃষ্টি করেছেন। যত দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকবেন তত দিন এ ঘর উপহার প্রদান কাজ বন্ধ হবে না। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পাল’র সভাপতিত্বে ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান’র সঞ্চালনায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আ. রহমান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার, গণমাধ্যম কর্মী ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা মোংলা উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা তুলে ধরেন।