জাহাঙ্গীর আলম অর্ণব
(২য় পব`)
সেদিনের পর থেকে নিলয় কে এক অদ্ভুত মায়া আচ্ছন্ন করছে পড়ন্ত বিকালের সময়টা কে ঘিরে।
নিলয় আজ দেখা করবে,এই জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে।
হ্যাঁ রুপা আসছে….
সেদিনের মতো রুপা আজ ও চলে যাই।মনের না বলা কথা গুলা নিলয়ের যেন বলাই হয় না।নিলয়ের আজ মন ভালো নেই। বাইসাইকেলটা নিয়ে নিলয় হেঁটে চলেছে ছায়ানাট প্রাঙ্গণে। যেখানে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেই নিলয়।আড্ডার স্থানে গেলে ও যেন মনটা বন্ধুদের কাছে নেই,পড়ে আছে রুপার কাছে। কে রুপা, এখানে কবে আসছে সেটা জানবার জন্য রিদয় ছটফট করে। নিলয় আজ সুমন কে বলবে রুপার কথা।আজ রবিবার। প্লেকাড` কর্নার এ ওদেের আজ মিটিং আছে।সবাই মিটিং এ মশগুল থাকলে ও নিলয় যেন কিছুতেই মন দিতে পারছে না,নিলয় শুধু রুপার কথা ভাপছে। নিলয় কে আনমনা দেখে সুমন বললো, এই নিলয় কি হয়েছে তোর!!
এত চুপচাপ কেন ?
কি হয়েছে..??
নিলয় উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে সুমনের দিকে।হঠাৎ সুমনের হাত ধারে একটু দুরে নিয়ে গেল আর বললো নিজের বুকের ভেতরে জমানো না বলা কথাগুলি।
কথা গুলি শুনে সুমন আনন্দিত হলে ও কিছুটা অবাক!! কেননা রুপা নামে এমন কেউ আছে এই কলোনিতে সেটা সুমন নিজেই জানে না।
দুই বন্ধু রুপার ব্যাপারে জানার চেষ্টা করলো সব।হ্যাঁ ওরা জানতে ও পারলো এই কলোনিতে ওদের নতুন আসবার কথা।
নিলয় প্রেমে পড়েছে।কোন এক নিষ্পাপ মায়াবী চোখের, কোন এক রুপা নামের মেয়ের…
কিন্তু কিছুতেই এই কথা বলতে পারছে না রুপা কে।
নিলয় আজ অপেক্ষা করছে রুপার জন্য, সেই পথে যে পথে তার স্বপ্নের পরি কে দেখেছিলো।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর রুপা আসছে হেঁটে হেঁটে। মনের ভিতরের সমস্ত অপারোগতা ছাড়িয়ে নিলয় রুপার সামনে দাঁড়াই আর হঠাৎ এ পেছন থেকে এক মুষ্টিতে আবদ্ধ রজনি গন্ধ্যা ফুলের তোড়া রুপার সামনে তুলে ধরে , নিলয়েরর হাতটি কাঁপছে ওদিকে রুপা কি করবে বুঝতে পারছে না।কেননা এমন পরিস্থিতি আজ সামনে এসেছে যা দুজনার জন্যই নতুন।
রুপা কিছু না কিছু ভেবে ফুলের তোড়াটি ধরবে ভেবে না ধরে বাসার দিকে আবার চলতে শুরু করলো।
নিলয় ফুলের তোড়াটি হাতে নিয়ে রুপার যাত্রাপথে তাকিয়ে রইলো।
নিলয় ভাবলো রুপা তাকে ভালোবাসে না।কিন্তু না, রুপা ও হয়ত নিলয় কে ভালোবাসে কিন্তু সেটা সে বলতে পারছে পারিবারিক কিছু বেড়াজাল সে যে অনেকটাই আবদ্ধ।তাই তার মনের কথা বলা হয় না।
চলবে……….