শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
আরব আমিরাতের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ২০২৪-২৫ কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন ও কর্মী সমাবেশ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা এবং সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়তে নির্দেশ দেয়া হয়েছে জিএমপি পূবাইল থানা পুলিশের অভিযানে ০৭ কেজি গাজাসহ গ্রেফতার-০১ জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন নির্বাচিত গাইবান্ধায় মিছিল থেকে আ.লীগের কার্যালয় ভাঙচুর।।মোটরসাইকেলে আগুন।।জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেয়রসহ আহত -১০ একটু মানবতার ছোঁয়া ফাউন্ডেশনের কার্যকরী কমিটি গঠন লাইসেন্সবিহীন জনৈক মোমিন কাজীর ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় বাল্যবিবাহের হিড়িক ছাত্রলীগের নিষেধ উপেক্ষা করে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

হঠাৎ রুপার জন্য

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

(শেষ পর্ব )
জাহাঙ্গীর আলম অর্ণব

নিলয় সত্যি রুপাকে অজান্তেই অনেক ভালোবেসে ফেলেছে।একটা অদ্ভুধ মায়া জন্মেছে রুপার জন্য।নিলয় আজ ও অপেক্ষা করছে একটি কবিতার বই নিয়ে রাস্তার ধারে কৃষ্ণচূড়া গাছের পাশে প্রিয়সী রুপার জন্য ।খুব ইচ্ছা কবিতার বই টি রুপাকে উপহার দিবে। কিন্তু রুপার দেখে মিললো না সেদিন। নিলয় রুপাকে অনেক মিছ করছে।প্রতীক্ষার মুহূর্ত শেষ করে একটা সময় সে রুপার বাড়ির সামনে গেলো আর সাইকেলের বেল বাজালো একটু পর পর।নিলয় ভাবলো এটা শুনেই রুপা রুম থেকে বের হবে। হ্যাঁ রুপা বের হলো কিন্তু অনেকটা সময় পর।এক পলক দেখা দিয়েই রুপা রুমে চলে গেলো। রুপা ও হয়ত নিলয়কে পছন্দ করে ফেলেছে । কিন্তু কি করবে বুঝতে পারছে না।রুপা অনেকটা ভয় পাই তার বাবা কে।বাবা যদি জেনে যাই স্কুলে যাবার পথে কোন একটা ছেলে তার সাথে কথা বলে, তাহলে হয়ত তাকে স্কুলেই যেতে দিবে না।রুপা ও আনমনে অনেক কিছু ভাপতে থাকে।তার ভাবনা গুলা হয়ত নিলয় কে নিয়েই। প্রতিদিনের মতো আজ ও নিলয় অপেক্ষা করছে রুপার জন্য।আজ যে করেই হোক ওকে বলবে মনের কথাগুলা। অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে রুপা আসলো।নিলয় আজ রুপাকে বললো না বলা অদ্ভুত অনুভূতির কথাগুলি আর জানতে চাইলো রূপার কাছে ,নিলয়ের মুখে সেই অদ্ভুত অনুভূতির কথাগুলা শুনে রুপা যেন এক সাহসী এক স্বপ্ন চূড়ায় নিজেকে দাঁড় করিয়েছে। রুপা ও বললো তাকে ভালোবাসে।নিলয় তাকে এটাও বললো আজ ই তাকে বিয়ে করবে।রুপা নিলয়ের মুখে এই কথা অবাক হয়ে গেল।কি করবে সে আজ কিছুই বুঝতে পারছিলো না।হঠাৎ রুপার কোমল হাতটি ধরেই নিলয় ছুটে চললো একটি নতুন স্বপ্নের রং তুলিত মনের ক্যানভাসে প্রিয় মানুষটিকে ফ্রেমে বাধতে।হ্যাঁ নিলয় আজ যেন অনেক সাহসী হয়ে উঠেছে। তারা দুজন সুমনের কাছে চলে গেলো।সুমন আর তার সহকর্মী`দের পুরা বিষয়টা বুঝিয়ে বললো।ঠিক হলো আজ ই ওদের বিয়ে দেওয়া হবে। হ্যাঁ সর্বশেষ ক্লান্তি মাখা মেঘছোঁয়া মনের কোনে যেন এক খুশির লহর বইতে শুরু করেছে।এদিকে রুপা সেই সুখ যতটা না অনুভব করছে ঠিক তার চেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছে ওপর প্রান্তের নীড়ে থাকা মানুষগুলাকে ভেবে।
অবশেষে সন্ধ্যার ঘন ঘাটা পেরিয়ে বন্ধুদের সহযোগিতায় বিয়ের কাজ টা শেষ হলো।
ওদিকে মেয়ে বাড়ি না ফেরার দুশ্চিন্তায় গোলাম হামিদ সাহেব। কোথায় গেলো মেয়েটি, এত রাত হলো বিকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা আর সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত।এত সময় তো রুপা কোনোদিন বাড়ির বাইরে থাকে নাই,, কোথায় গেলো সে ?
ঠিক এরকম ই কথোপকথন চলছে রুপার মা এর সাথে।
মা এর মনটা ও ছটফট করছে…।।
কিন্তু কিছুই জানে না সে..
কিবা বলবে।
অবশেষে রুপার বাবা রুপার খোঁজ জানতে পারলো প্রায় ১ সপ্তাহ পর ,দিনটি ছিল রবিবার সময় প্রায় রাত ২ টা। পরদিন সকালে সকালে পুলিশ নিয়ে নিলয়ের বাসায় পৌঁছালো।
………..উঠান থেকে পুলিশের চিৎকারে ঘুম ভাঙ্গলো ওদের।
নিলয় ঘর থেকে বের হয়ে আসলো। নিলয়ের বুঝতে বাকি রইলো না, আজ তার সাথে কী হতে চলেছে।
রুপা বেরিয়ে আসলো বধূ সাজে। গোলাম হামিদ সাহেব রুপা কে জর জবরদস্তি করে নিয়ে গেল।রুপা কোনোভাবেই যেতে চাই নাই।ইচ্ছার বিরুদ্ধেই রুপার এই বাড়িতে কপট পড়লো।নিলয়ের দুই চোখে অশ্রু,সদ্য বিয়ে করা প্রিয় মানুষটি কে হারাবার সে যেন পাথর হয়ে গেছে।
……কারারুদ্ধ হল নিলয়ের জীবন।
ওদিকে রুপা নিলয়ের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে দিনের পর -দিন গুনছে।
হ্যাঁ রুপা প্রেগনেন্ট…….
কিন্তু কিছুতেই গোলাম হামিদ সাহেব সেটা কে স্বীকার করবে না বলেই চলেছে।রুপার মায়ের কথার অনেক জোরাজুরির পর এক শর্তে` রাজি হলো।
শর্তটা হলো..
জন্মের পর ওকে এতিম খানায় রেখে আসতে হবে।
বুকের ভেতরে অজস্র কষ্ট কে লুকিয়ে সন্তান চিরতরে হারাবার বেদনা রুপা কে যেন শেষ করে দিচ্ছে।তবু ও রুপাকে মেনে নিতেই হলো।
হ্যাঁ রুপার একটি মেয়ে হয়েছিলো।জন্ম নেবার পর রুপা মনে করেছিল হয়ত মিষ্টি মাখা মলিন হাসি দেখে তার বাবার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে, কিন্তু না পাষাণ হৃদয়ের বাবাকে সে মায়ার বন্ধনে বাঁধতে পারলো না।
কাজের শর্ত অনুযায়ী মেয়েটি আজ অনেক দুরে।
রুপা দিনের পর দিন চার দেয়ালের মাঝে চোখের পানি ঝরিয়েছে।চোখের সামনে প্রিয় মানুষগুলা কে ছিনিয়ে নেওয়াটা তার বুকের পাঁজরে অনেক বড় বড় ক্ষত সৃষ্টি করেছে রুপার……
নাহ্…….
রুপা আর বিয়ে করেনি
ওদিক এ নিলয় ও না।
কারাগার থেকে বেরোবার পর রুপার সাথে দেখা করতে গেলে ও হয়নি দেখা। নিষ্ঠুর পিতার মন সে গলাতে পারে নাই।
——অনেকটা বছর পেরিয়ে গেছে।রুপা ও নিলয়ের দেখা নাই।এই সমাজ রুপা আর নিলয়ের ভালবাসা মেনে নিতে পারে নাই।পারে নাই তাদের সুখের প্রতিচ্ছবি মানতে।
কিন্তু……..
কিন্তু সদ্য জন্মানো সেই অবুজ শিশুটি কি অপরাধ করেছিলো ?
সে তো কোনো অপরাধ করে নাই।

তাহলে কেন সে এতবড় একটা সাজা পেলো!!!!!
রুপা আর নিলয় হয়ত আজ ও বিপরীত মেরুতে দাঁড়িয়ে আজ ও অজস্র কষ্ট নিয়ে ছুটে চলেছে সেই উত্তরের খোঁজে……..।।

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • ১৬:৪৩ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৪৯ অপরাহ্ণ
  • ২০:১১ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102