বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
ভেড়ামারায় শিক্ষা অফিসে তালাঃ ক্ষমা চাইলেন শিক্ষা অফিসার ভূরুঙ্গামারীতে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা মহম্মদপুরে বিএনপি’র আনন্দ মিছিল সাভারে খেলার মাঠের দাবিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন মহম্মদপুর ৩৫ পিচ ইয়াবা সহ একমাত্র মাদক ব্যবসায় আটক প্রথম বছর পেরিয়ে দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করেছে ‘শামসুদ্দিন মাহমুদা ট্রাস্ট’।  ভূরুঙ্গামারীতে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের সম্মান জানিয়ে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে নিরাপদ সড়ক চাই এর ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কাউনিয়া উপজেলার ৩ নং কুর্শা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যে কারণে মুন্নি সাহাকে ছেড়ে দিল ডিবি

মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থ অভাবে অপু দাসের ভবিষ্যত অন্ধকারে

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৯৮ বার পড়া হয়েছে

অমল পালিত,যশোর প্রতিনিধি:

যশোরের মনিরামপুর,ঋষিপল্লীর অপু দাস মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থ অভাবে পড়াশোনার ভবিষ্যত অন্ধকারে। তার সামনে খরচের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বিত্তবানদের সহযোগিতা চাইছেন অপু দাস।

মনিরামপুর উপজেলার খানপুর ঋষি পল্লীর অসিত দাসের ছেলে অপুদাস,সে চলতি বছরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৭৫ নম্বর পেয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে। বাবা অসিত দাস মনিরামপুর বাজারে জুতা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অপু স্থানীয় খানপুর ঋষি পল্লীর ব্র্যাক সেন্টার থেকে ৫ম শ্রেনি পাশ করে মণিরামপুর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে ২০২০ সালে এসএসসি ও মণিরামপুর সরকারী কলেজ থেকে ২০২২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ন হন। এরপর বিগত ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনি সফল হতে পারেননি। তবুও হার না মানা অপু দাস হাল ছাড়েননি। চলতি ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কোন প্রকার কোচিং না করেই রাত-দিন কঠোর পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে অপু দাস এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৭৫ নম্বর পেয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান।

অপু দাস বলেন,আমার জীবনের বড় আশা ছিল আমি একজন চিকিৎসক হবো । দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবো। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমি চেষ্টা করে গেছি। হয়তো ভর্তির সুযোগ পেয়েছি কিন্তু সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। জানি না আমি কিভাবে মেডিকেলে পড়ার খরচ মোকাবেলা করবো। আমার অসহায় পিতা-মাতা কিভাবে কি করবেন সেটি আমাকে ভাবিয়ে তুলছে। পিতা-মাতা ভাই শিক্ষক,বন্ধু-বান্ধবসহ সকলের কাছে আমি ঋনী। আমি সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার পিতা-মাতা খুব কষ্ট করে থাকেন। আমি তাদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।

মা সাধনা রানী বলেন,আমি অন্য দশ জনের মত আমার ছেলেকে ভালো কাপড় চোপড়,বই-খাতা কিনে দিতে পারিনি। আমাদের কোন জমি-জমা নেই। ওর বাবা রাস্তার ফুটপথে বসে জুতা সেলাই ও জুতা কালির কাজ করেন। আমার অপু আজ ডাক্তার হবে এই কথা শুনে ভালো লাগছে কিন্তু ওকে যে কিভাবে আমরা পড়াবো তাই নিয়ে মহাচিন্তায় পড়েছি।

অপুর পিতা অসিত দাস বলেন,আমি লেখা পড়া জানিনে,জীবনের সাথে যুদ্ধ করে বড় হয়েছি। ক্ষেত খামার নেই,জুতার কাজ করে সংসার চালাই। ওরা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করছে । বাবা হয়ে বলতে লজ্জা পাচ্ছি। শুনিছি অপুর পড়াতি পারলি সরকারী হাসপাতালের অনেক বড় ডাক্তার হবে। কিন্তু আমি কিভাবে পড়াবানে।

প্রতিবেশি মিলন দাস বলেন,অপু পড়ালেখায় খুব ভালো। পড়া লেখা ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না সে। অপু ডাক্তারি চান্স পেয়েছে জেনে আমরা এলাকা বাসী খুব খুশী । আমদের পাড়ায় একজন বড় ডাক্তার হবে।

প্রতিবেশী গঙ্গা রাণী দাস বলেন,অপু খুব শান্ত স্বভাবের। ওদের পড়া লেখার জন্যিই ওর মা-বাবা খুব কষ্ট করে । ওর মা টায়ার টিউব-কাটার কাজ করে। ওর বাবা বাজারে জুতা সেলাই-কালির কাজ করে । ওরা খুব অভাবী।

অপুর শিক্ষক অধ্যাপক বাবুল আকতার বলেন,কঠোর অধ্যবসায় ও ইচ্ছা শক্তি দিয়ে যে সব কিছু অর্জন করা যায় তার উজ্বজল দৃষ্টান্ত হলো অপু দাস। দ্বারিদ্রতা হার মেনেছে তার ইচ্ছা শক্তির কাছে। আমি তার সর্বাঙ্গীন সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করি। তার সামনে খরচের অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বিত্তবানদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:১০ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ
  • ১৫:৩৫ অপরাহ্ণ
  • ১৭:১৪ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৩২ অপরাহ্ণ
  • ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102