স্টাফ রিপোর্টার মো: হাসান মিয়া
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্রের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। ছবিতে জাহাজে টহলরত জলদস্যুদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের সবার হাতেই ভারী অস্ত্র রয়েছে। তাদেরকে জাহাজের উপরের অংশে দেখা গেছে। ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ’র হাইজ্যাক হওয়ার খবর পেয়ে গত মঙ্গলবারই ভারতীয় নৌবাহিনী দূরপাল্লার মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফ্ট এলআরএমপি পি-৮১ মোতায়েন করে। পরে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। যুদ্ধ জাহাজটি বৃহস্পতিবার জিম্মি জাহাজটিকে নজরদারি করতে শুরু করে।
নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘এমভি আবদুল্লাহর অবস্থান শনাক্ত করার পর জাহাজের নাবিকদের অবস্থা নিশ্চিত করার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করেছে এলআরএমপি। তবে জাহাজ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, মোতায়েন করা যুদ্ধজাহাজটি বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে ছিনতাই হওয়া জাহাজটির কাছাকাছি হয়। নৌবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এরপর এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় এবং জাহাজটি সোমালিয়ার জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত কাছাকাছি এলাকায় থেকে নজর রাখে।
এদিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে আগের অবস্থান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। সর্বশেষ ২৩ নাবিকসহ জিম্মি জাহাজটি সোমালিয়ার গারাকাড উপকূলে নোঙর করা ছিল।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) জাহাজটিকে আরও প্রায় ৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তরে গদবজিরান উপকূল থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা হয়।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।