মোঃ রোমান হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আব্দুল লতিফের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও তার কর্মীসমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে মোটরসাইকেল প্রতিকের প্রার্থী খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় আনারস প্রতীকের অন্তত ৪ জন সমর্থক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের চরসঙ্গপুর এলাকায় আনারস প্রতীকের প্রার্থী নির্বাচনী জনসভায় গেলে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রাথমিকভাবে আহত রোয়াইল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আমজাদ হোসেনের পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায় নি। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আব্দুল লতিফ কে বলেন, রোয়াইল ইউনিয়নের চরসঙ্গুর এলাকায় সকালে আমার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে তালা মেরেছে খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর সমর্থকরা। বাইরের সকল পোষ্টার ছিড়ে ফেলেছে। আজ ওই স্থানে আমার নির্বাচনী সভা ছিল। আমি বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে নির্বাচনী সভাস্থলে যাওয়া মাত্র খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর সমর্থক আক্কাস ও মেসেরের নেতৃত্ব আমার সর্থকদের ওপর হামলা করে। আমি বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমার কর্মী সমর্থকদের শান্ত রাখার চেষ্টা করি। আমার নেতাকর্মীরা শান্ত থাকলেও আনারস প্রতীকের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে অন্তত ৪ জন কর্মী সমর্থককে আহত করেন। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। হামলাকারীরা এমপি সাহেবের দোহাই দিয়ে আমার নেতাকর্মীকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। বিষয়টি আমি ইউএনওসহ থানায় অবিহিত করেছি। আমার জনপ্রিয়তা বেশি হওয়ায় আমার নেতাকর্মীদের ওপর তারা হামলা চালিয়েছে। তারা চাচ্ছে যেন একটা বিশৃঙ্খলা হয়। কিন্ত আমি আমার কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি।
রোয়াইল ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আমজাদ হোসেন বলেন, রোয়াইল ইউনিয়নের চরসঙ্গপুর এলাকায় নির্বাচনী সভার পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আমরা উপস্থিত হই। আনারস প্রতীকের প্রায় এক থেকে দেড়শ সমর্থক উপস্থিত হতেই চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল লতিফ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথেই আক্কাস ও মেছের আলীর নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় আমিসহ আরও ৩ থেকে ৪ জন সমর্থক আহত হন। আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে এসেছি।
এব্যাপারে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী খালেদ মাসুদ খান লাল্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার লোকজন ওদের লোকের ওপর হামলা করবে কেন? ওদের লোকজনই ৩০/৪০ টি মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিয়ে আমার লোকজনকে মারতে গেছে। সেখানে আমার লোকজন থামাইছে। আমাদের এখানে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। কেউ যেন কারো সাথে কথা কাটাকাটি না করে। আমার বিরুদ্ধে তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. মামুন আব্দুল্লাহ বলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল লতিফ মুঠোফোনে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ধামরাই উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন পাঁচজন নারী প্রার্থী। আগামী ২১ মে ধামরাই উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।