মোঃশফিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার:
মাগুরার মহম্মদপুরের পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের যশোবন্তপুর গ্রামে শরিফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে চলতি বছরের ৫ জুন। এঘটনায় ডাকাতি করে অন্তত ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ দুই লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাত দল। ঐদিনই মহম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শরিফুল ইসলাম।
মহম্মদপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডাকাতির পর থেকেই মাগুরা জেলা পুলিশের সহায়তায় মহম্মদপুর থানা পুলিশ বিভিন্ন সূত্র ধরে ডাকাতি মামলা তদন্ত পরিচালনা করেন। তদন্তের এক পর্যায়ে মহম্মদপুর সদরের বাঐজানি গ্রামের জেলখানা পাড়ার আব্দুল্লাহ শেখের ছেলে মিরাজ শেখ (২৫) এর সম্পৃক্ততা খুঁজে পায়। পরে মহম্মদপুর থানা পুলিশ আরও কঠোরভাবে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তের এক পর্যায়ে ডাকাতির ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী, পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ও যশোবন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে নাজমুস সাকিব (২৯) এর সম্পৃক্ততা মিলে। একপর্যায়ে দুজনকে আটক করা হয়। আটকের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির মালামাল বিক্রি করা ২লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা ও ৩টি মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ত আরো কয়েকজনের নাম পাওয়া গেছে। আটক নাজমুস সাকিব বর্তমানে মহম্মদপুর সদরে বসবাস করতেন।
মহম্মদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ বোরহান উল ইসলাম বলেন, এঘটনায় লুন্ঠিত মালামাল বিক্রির ২লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল জব্দ সহ ২জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তদন্তের স্বার্থে সেটা গোপন রেখে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলমান রয়েছে।