মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গাজীপুরের কাশিমপুরে ২ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে কাশিমপুর থানা পুলিশ ভেড়ামারায় নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন পরাজিত শক্তির অপকৌশল রুখে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দূর্গোৎসব পালিত মাগুরায় বাংলাদেশ কংগ্রেসের জেলা শাখার কমিটি গঠন আজ প্রতিমা বিসর্জন, মণ্ডপ গুলোতে বিদায়ের সুর সাঁথিয়ায় আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র ব্যর্থ, সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে -নিতাই রায় চৌধুরী দৌলতপুর আল্লারদর্গা বাজারের রাস্তা সংস্কার,ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা চালুর দাবিতে মানববন্ধন  শেরপুরে আন্ত:জেলা গরুচোর চক্র ও মাদকসহ সহ গ্রেফতার- ৫ সাভারের পূজামণ্ডপে শুভেচ্ছা-বিনিময়ে মেয়র পদপ্রার্থী খোরশেদ আলম

সভাপতির চাপে অভিযোগ দিতে পারিনি, এটা আমার ব্যর্থতা। অনিয়মের দায় স্বীকার সুপারের”

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৯৭ বার পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

“অভিযোগ দেওয়া উচিত ছিল, সভাপতির চাপে দিতে পারিনি, এটা আমার ব্যর্থতা” অকপটে অনিয়মের দায় স্বীকার করেছেন মাগুরার মুছাপুর- গোবিন্দপুর হোসেনীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ আইয়ুব আলী।

 

উল্লেখ্য, মাদ্রাসার শতাধিক গাছ কেটে বিক্রি করা, মাদ্রাসার সামনের জমিতে দোকান করে পছন্দের লোকদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া, স্থাবর সম্পত্তি লিজ দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, তাদের পছন্দের এবং অযোগ্য প্রার্থীদেরকে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়ে সমুদয় অর্থ মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজে ব্যবহার না করে আত্মসাৎ সহ নান অপকর্ম করার অভিযোগ উঠেছে মাগুরা সদর উপজেলার মুছাপুর-গোবিন্দপুর হোসেনিয়া দাখিল মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি কুদ্দুস মোল্লা এবং সুপার আইয়ুব আলীর বিরুদ্ধে।

 

সংঘঠিত অনিয়মের প্রতিকার এবং সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।

উপজেলার ঘোড়ানাছ গ্রামের ফারুক হোসেন জানায়, মাদ্রাসায় ২০-২৫ বছর পূর্বে লাগানো শতাধিক মেহেগুনি গাছসহ অন্যান্য গাছ ছিল। মাদ্রাসার সুপার আইয়ুব আলী এবং তৎকালীন সভাপতি কুদ্দুস মোল্লা গাছগুলো কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। গাছ বিক্রির টাকা দিয়ে মাদ্রাসার উন্নয়নে না লাগিয়ে তারা আত্মসাৎ করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একই গ্রামের একাধিক সচেতন গ্রামবাসী জানান, মাদ্রাসার স্থাবর সম্পত্তির (চাষযোগ্য জমি) কিছু অংশ মাদ্রাসার সভাপতি কুদ্দুস মোল্লা তার নিজের দখলে রেখে চাষাবাদ করেন এবং বাকি সম্পত্তি লিজ দিয়ে সমুদয় অর্থ তিনি এবং মাদ্রাসার সুপার এ যাবৎ কাল আত্মসাৎ করে আসছেন।

কুকিলা গ্রামের জিল্লুর রহমান লাল্টু জানান, মাদ্রাসা ফান্ডের টাকায় দোকান ঘর নির্মাণ করে নিজেদের পছন্দের লোকদের মধ্যে বরাদ্দ দিয়ে বরাদ্দের অর্থ মাদ্রাসা ফান্ডে জমা বা মাদ্রাসার উন্নয়নে ব্যবহার না করে আত্মসাৎ করেছেন মাদ্রাসার তৎকালীন সভাপতি কুদ্দুস মোল্লা এবং সুপার আইয়ুব আলী। এলাকার সচেতন নাগরিক হিসেবে এসব অপকর্মের সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নিকট একটা অভিযোগ পত্র দিয়েছেন বলেও জানান তারা।

 

প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার মোঃ আইয়ুব আলী বলছেন, গত রমজান মাসের রাতের আঁধারে কারা গাছ কেটে নিয়ে নিয়ে গেছে তা তিনি জানেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কিংবা আইনের সহায়তা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আইনের সহযোগিতা নেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তিনি তা নিতে পারেননি। এটা তার ব্যর্থতা বলে নির্দ্বিধায় স্বীকারও করেন তিনি। অনিমতান্ত্রিকভাবে দোকান বরাদ্দ, ও স্থাবর সম্পত্তি লিজের অর্থ মাদ্রাসার ফান্ডে জমা রাখা হয়েছে কিনা অথবা মাদ্রাসার কোন উন্নয়নের ব্যবহৃত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থাবর সম্পত্তির কিছু অংশ সভাপতি নিজে দখলে নিয়ে চাষ করতেন, কিছু লিজ দিতেন। এখন সম্পত্তি মাদ্রাসার দখলে রয়েছে। মাদ্রাসার ঘরগুলো তার পছন্দের লোকদেরকে বরাদ্দ দিয়ে টাকা তৎকালীন সভাপতি নিয়ে গেছেন। সভাপতি প্রভাবশালী এবং আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় তৎকালীন সিচুয়েশনে তার কিছু করার ছিল না, সভাপতির চাপেই তিনি কোন পদক্ষেপ নিতে পারেননি বলে জানান মাদ্রাসার সুপার মোঃ আইয়ুব আলী । প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসাবে এই অনিয়মের দায় তার ওপর বর্তায় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সকল অনিয়মের দায় অপকটে স্বীকারও করেন এ প্রতিষ্ঠান প্রধান।

প্রতিষ্ঠানটির তৎকালীন সভাপতি কুদ্দুস মোল্লার নিকট মুঠোফোনে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি নয় বলেও জানান তিনি।

স্থানীয়দের থেকে মুছাপুর- গোবিন্দপুর মাদ্রাসায় অনিয়ম হয়েছে মর্মে একটা অভিযোগ পেয়েছি।অভিযোগের বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখব। সেখানে আইনগত যদি কোন ব্যত্যয় ঘটে বা তৎকালীন যিনি সভাপতি ছিলেন এবং বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার যদি কোন অনিয়ম করে থাকে বা আর্থিক কেলেঙ্কারি থাকে বা আত্মসাৎ করার বিষয় থাকে সেক্ষেত্রে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিব। সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী উপজেলার সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে দেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে আমি মাদ্রাসাটি পরিদর্শন করব এবং তাৎক্ষণিক যদি কোন আর্থিক অনিয়ম পাই সেক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নিব বলে জানিয়েছেন মাগুরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান।

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ
  • ১৫:৫৫ অপরাহ্ণ
  • ১৭:৩৬ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৫০ অপরাহ্ণ
  • ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102