মোহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম মাগুরা
মাগুরায় গণকমিটি ৪ দফা দাবিতে সমাবেশ করেছে।এসব দাবির মধ্যে রয়েছে বর্ধিত পৌর কর প্রত্যাহার করা,জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া,মাগুরা টেক্সটাইল মিল চালু করা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা,নিত্য পণ্যের দাম কমানো। ৪ সেপ্টেম্বর সকালে মাগুরা জেলা গণকমিটির উদ্যোগে চৌরঙ্গীর মোড় জেলা প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ সম্পন্ন হয়। গণকমিটির মাগুরা জেলা আহবায়ক এটিএম মহব্বত আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক শিক্ষাবিদ কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ,সদস্য সচিব প্রকৌশলী শম্পা বসু,সদস্য সুদেপ চক্রবর্তী প্রমূখ।সমাবেশ পরিচালনায় ছিলেন গণকমিটির জেলা সদস্য ভবতোষ বিশ্বাস জয়।সমাবেশে বক্তারা বলেন, “সম্প্রতি মাগুরা পৌরসভায় পৌরকর বিগত বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।পৌর নাগরিকদের সাথে কোন ধরনের আলোচনা ছাড়া,পূর্ব কোন নোটিশ ছাড়া, কোন্ নিয়মে এই কর বৃদ্ধি করা হলো তা আমরা অবগত নই।বরং মাগুরা পৌরসভার বিরুদ্ধে এখানকার বাসিন্দাদের অনেক অভিযোগ আছে,পৌরকর দেওয়ার পরও তেমন সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার।এখানে কোনো আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি,ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়।বাড়ছে অপরিকল্পিত নগরায়ন,দেখার কেউ নেই।শহরের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের ভালো কোন ব্যবস্থাপনা নেই। শহরে নারী ও পুরুষের জন্য নিরাপদ,স্বাস্থ্যসম্মত পাবলিক টয়লেট নেই।বিভিন্ন এলাকায় স্ট্রিট লাইট নেই বা নষ্ট।অনেক এলাকায় রাস্তা ভাঙাচোরা,খানাখন্দে ভরা, মানুষের দুর্ভোগ।সব এলাকায় নিয়মিত মশার ওষুধ দেওয়া হয় না।তাহলে দেখা যাচ্ছে পৌরসভা তার দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করছে না কিন্তু আমাদের ট্যাক্স বাড়িয়ে দিচ্ছে।অবিলম্বে এই বর্ধিত পৌরকর প্রত্যাহার করতে হবে।”
বক্তারা আরো বলেন,,মাগুরা জেলার প্রধান প্রধান সংকটগুলোর মধ্যে অন্যতম বেকার সমস্যা।এই সংকট সমাধানে তেমন কোন উদ্যোগও চোখে পড়ে না।জেলায় কর্মসংস্থানের প্রায় কোন ব্যবস্থা নেই,এখানে সরকারি কোন শিল্প কলকারখানা নেই। মাগুরা টেক্সটাইল মিল অনেক বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে।মাগুরা দেশের কোন প্রান্তিক এলাকা না।মাগুরা থেকে ঢাকা,মংলা বন্দর ইত্যাদি কাছে এবং যোগাযোগ ভালো।মাগুরায় ধান,পাটসহ কৃষিপণ্য ভালো উৎপাদন হয়।নবগঙ্গা,মধুমতি, ফটকিসহ বেশকিছু নদী আছে।তাহলে কেন এই জেলায় শিল্প কলকারখানা করা হবে না?”