নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ আরমান হোসেন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ছায়াতল গ্রামের নাজিমুদ্দিন ও একই গ্রামের লুৎফর রহমান এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত শুক্রবার ২০ শে সেপ্টেম্বর উভয় পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় কাশিমপুর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে কাশিমপুর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ উভয়পক্ষকে ঝামেলা না করে আদালতের মাধ্যমে সমাধান করার জন্য অনুরোধ করে।
কিন্তু পুলিশ স্থান পরিবর্তন করার সাথে সাথেই ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শী মমিনুর জানায়, ২০০৬ সাল থেকে প্রায় ১৮ বছর যাবত সুরাবাড়ি মৌজার ১৩ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছিলো। যার আর এস ৫০ এবং সি এস ২৪৯।
জমিটিতে লুৎফর রহমানও মালিকানা দাবি করে। তারা জমি নিয়ে আদালতে মামলা করে তবে মামলাতে জমির রায় পায় নাজিমুদ্দিন ।
জমিটি নিয়ে সামাজিকভাবে একাধিকবার বসা হলেও কোন পক্ষেই সমাধানে আসতে চায় নি। গত শুক্রবার ২০শে সেপ্টেম্বর বিকেলে জমিটিতে লোকজন নিয়ে কাজ করতে যায় লুৎফর রহমান ও তার ছেলে সোহাগ। এ সময় নাজিমুদ্দিন ও তার ছেলে নজরুল কাজ করতে বাধা দেয়।
এ সময় লুৎফর রহমানের নির্দেশনা আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইউনুস মেম্বার এবং লুৎফর রহমানের ছেলে এডভোকেট সোহাগ এর নেতৃত্বে ১৫০ থেকে ২০০ জন একটি দল লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নাজিমউদ্দিন এর পরিবার এর উপর হামলা করে।
এতে নাজীমউদ্দিন (৫৫) স্ত্রী আমেনা বেগম (৪৮), ছেলে নজরুল (৩৫), মিঠুনসহ আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত হয় নাজিমুদ্দিন ও নজরুল।
আহতদের শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এভার কেয়ার হসপিটালে পাঠানো হয়।
সংঘর্ষে অপর পক্ষের লোকজনসহ ৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে কাশিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, সংঘর্ষের পূর্বে কোন এক পক্ষ হতে থানায় ফোন দেওয়া হলে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আদালতের মাধ্যমে সমাধান পরামর্শ দেয়।
সংঘর্ষ এবং আহতের বিষয়ে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।