মোঃ শান্ত খান ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাইপাইল এলাকার বার্ডস গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা টানা ২৪ ঘন্টা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করায় সড়কটিতে দীর্ঘ প্রায় ২০ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
যানজটের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক। এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দাবি আদায়ে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে দিনভর যান চলাচল বন্ধ থাকে। রাতেও শ্রমিকরা সড়ক না ছাড়ায় টানা অবরোধের ফলে ৩ সড়কে তীব্র যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সড়ক ব্যবহারকারীরা। এসময় বাধ্য হয়ে অনেককেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার বার্ডস গ্রæপের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। কোনো ধরনের আশ্বাস না পেয়ে শ্রমিকরা এখনও সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানায়, ২৭ তারিখের ইস্যু করা নোটিশের মাধ্যমে গত ২৮ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকার বার্ডস গ্রæপের সকল কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়। এসময় শ্রমিক কর্মচারীদের আগস্ট মাসের বেতন সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখ ও সার্ভিস বেনেফিটসহ ক্ষতিপূরণ ৩০ সেপ্টেম্বর পরিশোধের দিন ধার্য করা হয়।
চুক্তিমত শ্রমিকদের বেতনের টাকা পরিশোধ করলেও ৩০ সেপ্টেম্বর সার্ভিস বেনেফিটসহ ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের আরও তিন মাস সময় চেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি। নির্ধারিত টাকা পরিশোধ না করায় শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এদিকে শ্রমিকদের টাকা পরিশোধ না করলেও শ্রমিক নেতাদের প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা উৎকোচ হিসাবে প্রদান করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে শ্রমিকরা সোমবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু শ্রমিকরা দাবি আদায় না হওয়ার পর্যন্ত সড়ক ছাড়বে না বলে জানিয়েছেন।
এদিকে সকাল থেকে শিল্পাঅঞ্চল আশুলিয়ায় ১৪ টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ছাড় সব গুলোতে পুরোদমে উৎপাদন চলছে। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।