এনামুল হক রুবেল
পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে অঙ্গীভূত হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করছেন আনসার সদস্যরা। ব্যাটালিয়ন আনসার এ বাহিনীর মূল ফোর্স হলেও আনসার বলতে মানুষ বোঝে সাধারণ আনসারদেরই। নির্বাচনে শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথমেই ডাক পড়ে এই সাধারণ আনসারদেরই। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার দায়িত্বও পালন করছেন তারা। আর এই সাধারণ আনসার সদস্যদের অভিযোগ, বাহিনীতে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। তাদের বেতন-ভাতা তুলনামূলকভাবে অনেক কম। এই বেতনে জীবিকা নির্বাহ করা অনেক কঠিন। এরপরও জীবন-জীবিকার তাগিদে কাজ করে যেতে হচ্ছে বছরের পর বছর।
সাধারণ আনসারদের চাকরির ধরন
অঙ্গীভূত সাধারণ আনসারদের তিন বছর বাধ্যতামূলকভাবে ছয়মাসের জন্য বিরতিতে যেতে হয়। ছয়মাস পর নিয়ম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যের কাছে সদর দফতর থেকে একটি অফার ম্যাসেজ যাবে। সেই ম্যাসেজে বলা হয়, তিনি কোন জায়গায় পুনরায় কাজে যোগ দেবেন। কিন্তু ছয়মাস পর সেই মেসেজ পেতে লেগে যায় আর আরও তিন থেকে চার মাস। বিরতির পর মেসেজ পাওয়া সম্পর্কে আনসার বাহিনীর ওয়েব সাইটে বলা হয়েছে, ‘স্মার্ট কার্ডধারী আনসারদের অঙ্গীভূতকরণ প্রক্রিয়াটি একটি অটোমেটেড সিস্টেমে পরিচালিত হয়ে থাকে। আনসারদের নির্ধারিত বিরতিকালের পরেও অফার পাওয়ার জন্য ৩ থেকে ৪ মাস অপেক্ষা করতে হতো। বর্তমানে প্যানেলে আসার পর এ বিরতিকাল তিন-চার মাস থেকে কমে ১৫ দিনে এসে দাঁড়িয়েছে। এইচআরএম সিস্টেমে সম্প্রতি কিছু উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়াসহ অফার-প্রত্যাশী আনসারদের ক্রমাগত সচেতন করায় অফার-প্রাপ্তিতে এ কাঙ্ক্ষিত ফলটি অর্জিত হয়েছে বলে আনসার সদর দফতরের দাবি। কিন্তু আনসার সদস্যদের অভিযোগ, বাস্তবতা ভিন্ন তারা বলছেন, ছয় মাস বিরতির পর যে মেসেজ যাওয়ার কথা, সেটি পেতে অনেক ক্ষেত্রে আরও অতিরিক্ত ছয় মাস পার হয়ে যায়। আর এ সময়টি তারা সম্পূর্ণ বেকার থাকেন। কেউ খোঁজও নেয় না।
নিরাপত্তায় অতন্দ্র প্রহরী হচ্ছে অঙ্গীভূত সাধারণ আনসার
অঙ্গীভূত সাধারণ আনসার সদস্যরা দেশের সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, সম্পত্তি, মার্কেট, হাটবাজার, যানবাহন, ব্যাংক, অর্থ-লগ্নিকারি প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, সরকারঘোষিত বিশেষায়িত এলাকার যে কোনও সরকারি-বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও এলাকার নিরাপত্তা ও পাহারায় তারা দায়িত্ব পালন করছেন। আনসার সদর দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে চার হাজার ১০টি সংস্থায় ৪৮ হাজারেরও বেশি অঙ্গীভূত আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন৷
(চলমান)