জাতীয় নাগরিক কমিটি দেশের বিভিন্ন জেলার ন্যায় কুষ্টিয়া জেলার জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্য, আহত,সমর্থনকারীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নাগরিকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা করেছে।
আজ ২৩শে নভেম্বর শনিবার “কুষ্টিয়া রাইজিং” শিরোনামে ভেড়ামারা উপজেলা অডিটোরিয়ামে দুপুর ৩টায় এই মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
শোভন আহমেদের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল এবং তানজিল মাহমুদ।
২৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ কুষ্টিয়ার তরুণ
রাজন আহমেদ বলেন,”পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে বেহুশ অবস্থায় আমি যখন রাস্তায় কাতরাচ্ছিলাম,কেউ আমাকে হাসপাতালে নেয়নি। দুজন সাংবাদিক ভাই জীবন বাজি রেখে হাসপাতালে ভর্তি করেছিল। এখনও আমি ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছি।
আরেকজন আহত যুবক তাইমুল ইসলাম বলছিলেন, আমার মাথায় এখনো ছয়টা গুলি আছে। প্রতিদিন যন্ত্রণা নিয়ে বাঁচতে হচ্ছে আমাকে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির স্থানীয় পর্যায়ের অন্যতম সংগঠক মোঃ জান্নাতুল ফেরদৌস টনি বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, এই বাংলাদেশকে সাম্য,ন্যায়বিচার,মানবিক মূল্যবোধ আর সুশাসনের ভিত্তিতে গড়ে তুলতে হবে। সমাজের প্রতিটি রন্ধে রন্ধে জমে থাকা দুঃশাসন অনিয়ম আর বৈষম্যকে দূর করতে হলে জাতীয় নাগরিক কমিটিকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
স্থানীয় সংগঠক রিন্টু বলেন, যে কোন মূল্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্দেশ্য আমরা বাস্তবায়ন করবোই।
জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্ল্যাহ আল মামুন ফয়সাল বলেন, “ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অভ্যুত্থানের শক্তি নাগরিক, আহত ও শহীদ পরিবারের তরুণ নাগরিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে এই নাগরিক কমিটি। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে নাগরিক কমিটির তাই ভূমিকা অনেক। কোনভাবেই শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করা যাবেনা।”
কেন্দ্রীয় নেতা তানজিল মাহমুদ বলেন, “বিগত কয়েক দশক ধরে সংবিধানকে ঢাল বানিয়ে এই দেশে ফ্যাসীবাদ চর্চা করা হয়েছে, সুতরাং এই সংবিধান পরিবর্তন করে জনগনের জন্য নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে যেন আর কখনো ফ্যাসিবাদ মাথাচড়া দিতে না পারে।