নিজস্ব প্রতিনিধি
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় তথ্য সংগ্রহের জের ধরে চ্যানেল এস এর পাটগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ মিনাজ ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা চেয়ার দিয়ে হত্যার চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন সানমুন প্লাজা কাপড় দোকানের কর্মচারী খাদেমুল ইসলাম । এ ঘটনায় সারাদেশে সাংবাদিক সমাজে তীব্রনিন্দা ঝড় উঠেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ার ৩ দিন পার হলেও এখনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পাটগ্রাম উপজেলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) আশরাফুজ্জামান সরকার । বুধবার ( ০৯ জানুয়ারি) রাতে পাটগ্রামের পশ্চিম চৌরঙ্গী মোড়ে হিমু হোটেলে প্রকাশ্যে এ হামলা করেন খাদেমুল ইসলামসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন । এ ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মোঃ মিনাজ ইসলাম।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চ্যানেল এস পাটগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি মিনাজ ইসলাম ছেলে-মেয়ে সম্পর্কিত ঘটনায় মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পাটগ্রামের জগতবের এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করে ফিরে আসার পরে হিমু হোটেলে লাঞ্চের জন্য বসলে তার মুঠোফোনে ফোন করে হুমকি দেয়ার কয়েক মিনিট পর মিনাজ ইসলামের উপর অতর্কিত হামলা চেয়ার দিয়ে হত্যার চেষ্টা ও প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেন খাদেমুল ইসলাম। এমন ঘটনার তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত খাদিমুল ইসলামকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানান সারাদেশের সকল পর্যায়ের সাংবাদিক সমাজ। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা যায় ।
এ বিষয়ে মিনাজ ইসলাম বলেন জগতবেড় এলাকায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছেলে মেয়ের একটি ঘটনায় মেয়ের বক্তব্য ও বিভিন্ন তথ্য নিয়ে ফিরে এসে পাটগ্রাম চৌরঙ্গী মোড়ে হিমু হোটেলে কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে চা খেতে বসি এমন সময় হঠাৎ করে কয়েকজন কে সাথে নিয়ে খাদেমুল আমাকে অতর্কিতভাবে হামলা চেয়ার দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে এবং আমাকে ও আমার পরিবারকে দেখে নেওয়াসহ প্রকাশ্যে প্রান নাশের হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে হামলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠে। এঘটনায় খাদেমুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পাওয়া যায়নি এমনকি তার মুঠোফোনে কল করলে তার ফোন বন্ধ দেখায়।
এঘটনায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও গণমাধ্যমকর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। পাটগ্রাম প্রেসক্লাব এর সভাপতি ইফতেখার আহমেদ ও পাটগ্রাম উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামার হাবিব এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ও সেই সাথে অভিযুক্তকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান, তিনি আরো বলেন সাংবাদিক মিনাজ ইসলামের উপর হামলাকারীকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকারের কাছে মুঠো ফোনে ফোন করে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা করে বলেন আমি এ বিষয়ে কনো ব্যবস্তা নিতে পারবো না যতখন না আমার উধর্তন কর্মকর্তা আমাকে আদেশ দেন এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেননি তিনি।