মোঃ রোমান হোসেন স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা জেলার সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় এক যুবকের মরদেহের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। হাত-পা কাপড়ের টুকরা দিয়ে ও মুখ স্কচটেপ দিয়ে আটকানো অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিলেন বলে জানা গেছে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার(২০ নভেম্বর)রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত আশুলিয়ার পলাশবাড়ী বাতানটেক এলাকায় আলম মিয়ার মালিকানাধীন বাড়িতে এ মরদেহ উদ্ধারকাজ চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশের।
নিহত ব্যক্তির নাম দুরুল হুদা (৪০)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানার উত্তর ফতেহপুর গ্রামের বাহের আলীর ছেলে। স্ত্রী মেহেরুন্নেসাসহ আশুলিয়ায় থাকতেন তিনি। দুরুল পেশায় একটি কীটনাশক কারখানার প্যাকিংম্যান হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, নিহতের স্ত্রী আজ বেলা আড়াইটার পর কারখানা থেকে ফিরে বাসায় ঢুকে নিজের স্বামীর মরদেহ দেখতে পান। এ সময় তিনি আশপাশের লোকদের খবর দেন। দুরুল হুদার লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল। তাঁর হাত-পা কাপড়ের টুকরা দিয়ে ও মুখ স্কচটেপ দিয়ে আটকানো ছিল।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ভাড়া বাসায় কী কারণে যুবক হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন, সব বিষয় মাথায় রেখে তদন্ত করছি। পিবিআই ক্রাইম সিন আসলে সুরতহাল শুরু করা হবে।’
পরে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) শহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। বিস্তারিত অতিদ্রুতই জানানো হবে।’