শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আরব আমিরাতের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ২০২৪-২৫ কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদন ও কর্মী সমাবেশ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা এবং সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়তে নির্দেশ দেয়া হয়েছে জিএমপি পূবাইল থানা পুলিশের অভিযানে ০৭ কেজি গাজাসহ গ্রেফতার-০১ জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন নির্বাচিত গাইবান্ধায় মিছিল থেকে আ.লীগের কার্যালয় ভাঙচুর।।মোটরসাইকেলে আগুন।।জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেয়রসহ আহত -১০ একটু মানবতার ছোঁয়া ফাউন্ডেশনের কার্যকরী কমিটি গঠন লাইসেন্সবিহীন জনৈক মোমিন কাজীর ছত্রচ্ছায়ায় এলাকায় বাল্যবিবাহের হিড়িক ছাত্রলীগের নিষেধ উপেক্ষা করে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ঠাকুরগাঁওয়ে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

প্রথাগত চিকিৎসার বাইরে ‘জাস্টিস অফ পিস’ সম্মানে ভূষিত এশিয়ার প্রখ্যাত ডাঃ প্রকাশ মল্লিক

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

মো: লিটন উজ্জামান বিশেষ প্রতিনিধি

 

এশিয়া মহাদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ প্রকাশ মল্লিক বর্তমানে হোমিও চিকিৎসা জগতের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি। সম্প্রতি তিনি ‘জাস্টিস অফ পিস’ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তিনি একটি সক্রিয় ধারায় চিকিৎসা করেন, যা ‘মল্লিক মেথড’ নামে পরিচিত। আসলে ডাঃ মল্লিকের মেথড কোন প্যাথি নয়, তা হল ‘কিউরোপ্যাথি’। ডাঃ মল্লিক এর মধ্যে কোন গোড়ামী নেই । তার আছে ইনটিউশান। অতীতের প্রখ্যাত চিকিৎসক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের মধ্যে ইনটিউশান ছিল। ডাঃ রায় ছিলেন প্রথাভাঙ্গা চিকিৎসক। ডাঃ রায়ের গল্প বলিঃ এই গল্পটি প্রখ্যাত সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের মাধ্যমে পাওয়া । সঞ্জীব বাবুর বন্ধুর মাথা ঘোরার রোগ হয়, যা কোনো প্যাথিতেই সারছিল না। সঞ্জীব বাবুর বাবার পরামর্শে তিনি ডাক্তার বিধান রায়ের কাছে যান। ডাক্তার বিধান রায় প্রেসক্রিপশন লিখলেন ‘রিভার্স হেড ‘ রোগী তো প্রেসক্রিপশন দেখে রেগে আগুন। এ কেমন ডাক্তার কোন ঔষধ না লিখে শুধু রিভার্স হেড লিখে ছেড়ে দিলেন। শেষে সঞ্জীব বাবুর বাবা ডাক্তার রায়ের কাছে গেলেন । ডাক্তার রায় বললেন, উনি উত্তর দিকে মাথা রেখে ঘুমান তাই চুম্বকতত্ত্বীয় কারণে তার মাথা ঘোরায় । তবে দক্ষিণ দিকে মাথা রেখে ঘুমালে আর মাথা ঘুরবে না। তিনি তাই করলেন এবং মাথা ঘোরা রোগ সেরে গেল। বিধান রায় তখন মুখ্যমন্ত্রী ৫ টার পর সবাই চলে যেতেন শুধু থাকতেন পুলিশ সার্জেন ও তার পি.এ। ঐ সময় থেকেই তিনি ফাইল দেখা শুরু করতেন। ডাক্তার রায় প্রসাব চেপে রাখতে পারতেন না তাই মাঝে মাঝেই তাঁকে টয়লেট যেতে হত। সেদিন রাত ৯ টা বেজে গেছে তার কাজ শেষ হয়নি, এদিকে ৯ টায় তার নৈশ ভোজ হবার কথা। তাড়াতাড়ি সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাচ্ছেন। সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে সুইপারটি কাশছে। কাশি শুনে ডাক্তার রায় দাঁড়িয়ে পড়লেন। ডাক্তার রাইয সার্জনকে বললেন, গাড়ি রেডি আছে ? সুইপার টিকে এখনই হাসপাতালে নিতে হবে ওর টিবি হয়েছে। হাসপাতালে নেবার পর জানা গেল সত্যিই তার টিবি হয়েছে। পরদিন ডাক্তার রায় রাইটার্সে এসে ওই সুইপারের ফাইল চেয়ে পাঠালেন এবং তাকে এক মাসের ছুটি মঞ্জুর করতে বললেন। তখন পি. এ বলল, এটা তো রুলে নেই। ডাক্তার রায় বললেন, আগে তো ওর জীবন বাঁচাতে হবে, তারপর রুলের কথা ভাবা যাবে। একদিন এক গ্রামের চাষী ডাক্তার রায়ের কাছে এলো চিকিৎসা করাতে ।ডাক্তার রায় বললেন, তুমি চাষ করো? তাহলে এবার পেঁয়াজের চাষ করবে ও রোজ পেঁয়াজের রস খাবে। তাতেই তোমার সব রোগ সেরে যাবে। পশ্চিমবঙ্গে তখন ম্যালেরিয়ার প্রকোপ ব্রিটিশরা তাদের সৈন্য বাহিনীদের জন্য সব কুইনাইন কিনে নিয়েছিল, ফলে বাজারে কুইনাইনের আকাল পড়ে। তখন ডাক্তার রায় ছাতিম পাতা থেকে ঔষধ তৈরি করে তার সাহায্যে দেশবাসীকে বাঁচান। এবারে বলবো ভারতের প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরুর রোগের কথা। নেহেরু খুব অসুস্থ। নেহেরু কন্যা ইন্দিরা গান্ধী খুব চিন্তিত ।কোন ডাক্তারই তার রোগ ধরতে পারছে না। লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ডাক্তার রায় কে দিল্লী আসার জন্য অনুরোধ করেন ও বিমানের ব্যবস্থা করেন। ডাক্তার রায় দিল্লি যান এবং নেহেরুজীর পেট পরীক্ষা করেন। ও লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ছাড়া অন্য সবাইকে ঘরের বাইরে যেতে বললেন এবং কিছুটা সাবান জল আনতে বললেন। নেহেরুর পাজামার দড়ি খুলতে যেতেই তিনি আপত্তি করেন। তখন তিনি বললেন আমি ডাক্তার ও আপনি রোগী । অতএব আমি কোন কথা শুনবো না। তারপর ডুশের সাহায্যে তার পায়খানা করালেন। ও কিছুটা ডাবের জল ও একটি হোমিও ঔষধ খাওয়াতে বললেন ।নেহেরুজি সুস্থ হয়ে গেলেন ।ডাক্তার রায় ছিলেন এই রকমই একজন প্রথাভাঙ্গা চিকিৎসক। আমি এবার আর একজন প্রথাভাঙ্গা চিকিৎসকের কথা বলব, যার নাম ডাঃ প্রকাশ মল্লিক। তিনি একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। আমি ছিলাম একজন হোমিওপ্যাথি কেমিস্ট। ডাক্তার মল্লিকের সংস্পর্শে এসে অনেকে ডাক্তার হয়েছেন আবার অনেকে পেয়েছেন নতুন দিশা। এরকম একজন পলাশ মেইকাপ। সে স্যারের বাড়িতে কাজ করতে এসেছিল। কিছুদিন পর সে বলে স্যার আমিও আপনার মত ডাক্তার হব। সে ছিল মাধ্যমিক পাস। তারপর ডাক্তার মল্লিক তাকে টুয়েলভ পাস করিয়ে মেদিনীপুর সরকারি হোমিও কলেজ থেকে বিএইচএমএস পাস করান। এরপর সে ২০২১ হোমিওপ্যাথির এমডির প্রবেশিকা পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান দখল করে। এই হলো ডাক্তার মল্লিকের সংস্পর্শে থাকার ফল। এবার আসি ডাক্তার মল্লিকের প্রথাভাঙ্গা চিকিৎসার প্রসঙ্গে। ডাক্তার মল্লিক ত্রিপুরা গেছেন একজন ব্যক্তির বাড়িতে তিনি আবার রাম ঠাকুরের শীষ্য। রাম ঠাকুরের ফটো দেখে ডাক্তার মল্লিক বললেন, আচ্ছা আপনার ঠাকুরের কি হাঁপানি ছিল? ভক্তের জানা ছিল না তাই উক্ত ভদ্রলোক ঠাকুরের অফিসে ফোন করে জানালেন যে ঠাকুরের সত্যি হাঁপানি ছিল। স্যারের সাথে ছিলেন ওখানকার দৈনিক পত্রিকার জনৈক প্রতিনিধি। পরদিন উক্ত কাগজে ছাপা হলো যে বিধান রোগীর চেহারা, রোগীকে দেখে বলতে পারতেন, যে তার কি রোগ আছে, আর বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের কিংবদন্তি হোমিওপ্যাথি ডাঃ প্রকাশ মল্লিক রোগীর ফটো দেখে বলতে পারেন তার কি রোগ আছে বা ছিল। আমরা একবার সুন্দরবনে একটা চিকিৎসা শিবিরে গেছি। সঙ্গে আছি আমি ডক্টর পি. মল্লিক ও ডাক্তার কুনাল ভট্টাচার্য্য। আমরা ১৬০ জন রোগী দেখার পর সবে খেতে বসেছি । সেই সময় এক ব্যক্তি এসে বলল আমার ছেলেটিকে একবার দেখে দিন। স্যার ছেলেটিকে দেখেই বললেন রিউম্যাটয়েড আর্থাইটিস ।ডাক্তার কুনাল ভট্টাচার্য বললেন, কি করে বললেন? ডাক্তার মল্লিক বললেন, রুগীর চোখ লাল। রোগীও স্বীকার করল যে পিজি হাসপাতাল তাকে রিওম্যাটয়েড আর্থাইটিস হয়েছে বলে বলেছিল। তো এই হলো ডাক্তার মল্লিকের ইন্টিউশানের উদাহরণ। ডাক্তার নীলকমল বর্মন কাঁথির সাত মাইলে চেম্বার করেন। ডাঃ মল্লিকের পদধূলি পড়লে তার চেম্বার ভালো চলবে এই ধারণার বশবর্তী হয়ে ডাক্তার মল্লিককে তার চেম্বারে আসার নিমন্ত্রণ জানান । ডাঃ প্রকাশ মল্লিক ও ডাক্তার পার্থ সারথী মল্লিক তার চেম্বারে গেলে প্রায় শয়ে শয়ে রোগীর আগমন ঘটেছিল, যার কিছু অংশ ডাঃ মল্লিক ও বাকিটা ডাক্তার পার্থ সারথী মল্লিক দেখেছিলেন

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০৮ অপরাহ্ণ
  • ১৬:৪৩ অপরাহ্ণ
  • ১৮:৪৯ অপরাহ্ণ
  • ২০:১১ অপরাহ্ণ
  • ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102