জিল্লুর রহমান কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি :
খুলনার কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা, বাসস্ট্যান্ডে, ফুটপাতে থাকা ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি.এম তারিক উজ জামান। এই শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে সমাজের ছিন্নমূল মানুষরা। গরিব-দুঃখী শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে শীতার্ত মানুষের বাড়িতে গভীর রাতেও কম্বল নিয়ে হাজির হচ্ছেন মানবিক এই অফিসার।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার সদর বাজার, মদিনাবাদ,ফুলতলা,ইসলামপুর,চাঁদআলী,আমাদী বাজার, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর চৌরাস্তা মোড এলাকায় রাস্তায় ভাসমাস মানসিক ব্যক্তি, অসহায় সুবিধাবঞ্চিত অসহায় ব্যক্তিদের হাতে এবং গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন তিনি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি)নিকট থেকে কম্বল পেয়ে বেশ কয়েকজন অসহায় দুঃখী মানুষের মুখে ফোটে হাসি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি.এম তারিক উজ জামান এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগে ‘না চাইতেই’ হাতে কম্বল পেয়ে অনেকে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। মন ভরে দোয়া করেন তারা।
কম্বল পেয়ে অসহায় ও হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষগুলোর মুখে ফুটেছে প্রাপ্তির হাসি। কম্বল হাতে পেয়ে তৃপ্তির হাসি হেসে অভিরন নেছা এসিল্যান্ডের মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেন।
তিনি বলেন,শীতে জীবন-যাপন কষ্টের হয়ে পড়েছে। কম্বল পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন ধর্ম সিং। অভিরন নেছা কম্বল পেয়ে দু’হাত তুলে দোয়া করতেও ভুল করেননি। এমনি ভাবে কালিকাপুর চৌরাস্তা মোড় এলাকায় রফি পাগল, ভিক্ষুক ইসহাক,দলু মিস্ত্রি বলেন এরকম ছুটে ছুটে কম্বল বিতরণ করতে আমরা আগে কখনো দেখিনি, কয়রায় কোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে এই প্রথম দেখলাম আমাদেরকে নিজে নিজে খুঁজে বের করে কম্বল গায়ে জড়িয়ে দিয়েছেন।
গভীর রাতে কয়রার রাস্তার পাশে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের গায়ে পরম মমতায় কম্বল জড়িয়ে দেন প্রশাসনের এ কর্মকর্তা। এসিল্যান্ডের দেওয়া কম্বলে উষ্ণতা পেয়েছে মানসিক ভারসাম্যহীন খেতা পাগল ও সোহরাব হোসেন। কম্বল পেয়ে অসহায় ও হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষগুলোর মুখে ফুটেছে প্রাপ্তির হাসি।
কয়রা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বি.এম তারিক উজ জামান বলেন, শীতে কোনো দুস্থ পরিবার যেন শীতের কষ্ট না পায়, সে জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশে তাদের পাশে এসে শীতবস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়েছি। শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।