বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে বিএনপির সম্প্রীতি সভা অনুষ্ঠিত ঝিকরগাছায় ইউপি সদস্যের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও ভূমি দস্যুতার বিরুদ্ধে ইউএনও’র নিকট অভিযোগ আশুলিয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, নারী শ্রমিক নিহত গাইবান্ধায় নবাগত জেলা প্রশাসকের সাথে প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স সাংবাদিকের সাথে মতবিনিময় সভা মাগুরায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর সমাবেশ  গাইবান্ধায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালিত পঞ্চগড়ের বোদায় কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা মহম্মদপুর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ ছাত্র আহাদের বাড়িতে নবাগত জেলা প্রশাসক জয়পুরহাটে ঐষুধ ব্যবসায়ীদের নির্বাচনি মতবিনিময় ও প্রতিবাদ সভা জয়পুরহাটে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ

কৌশলে বিয়ে ভোগের এক মাসের মাথায় যুবতী তাজমীনকে রাস্তায় ফেলে পালাল প্রতারক আকাশ

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৪২২ বার পড়া হয়েছে

 

মোঃ শফিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার :

মোছা : তাজমীন খাতুন (১৯), পিতা-মো : মমরেজ মোল্যা, গ্ৰাম-বেঙ্গা বেরইল (কলেজপাড়া), রাঘদাইড় ইউনিয়ন , মাগুরা সদর, মাগুরা।
তাজমীন খাতুন জানায়, একই গ্ৰামের মোঃ আকাশ মোল্যা (২৬), পিতা- সাজ্জাদ মোল্লার এক মাত্র ছেলের সাথে ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমি বেঙ্গা-বেরইল স্কুল এন্ড কলেজে ১০ম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার সময় ঘাটপাড়ার পিয়াসের মাধ্যমে মৌখিক ভাবে আকাশ প্রেমের প্রস্তাব দেয়, তখন আমি ৪-৫ মাস প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দেয় নাই।

একপর্যায়ে ৬ মাস পর এই সম্পর্ক জানাজানি হয়ে গেলে আকাশের বাবা-মা আকাশকে বুঝিয়ে বিদেশে (সৌদি আরব) পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকেই আকাশের সাথে আমার সম্পর্ক ফোনের মাধ্যেমে চলতে থাকে। এ বিষয়টি ও প্রকাশ হয়ে গেলে আমার পরিবার আমাকে এ সম্পর্ক বন্ধ করতে চাপ দিতে থাকে। আমি আকাশকে প্রচণ্ড ভালোবাসি তাকে ছাড়া আমার বেঁচে থাকা অসম্ভব মনে হলে আমি বিষ খেয়ে ফেলি। আমার পরিবারের লোকজান হাসপাতালে ভর্তি করে ওয়াশ করে আমাকে বাঁচিয়ে তোলে। এ সময় আকাশ ও যোগাযোগ কমিয়ে দেয়, আমি তাঁকে ভোলার চেষ্টায় কম্পিউটার কোর্সে ভর্তি হয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করি এবং নতুন করে মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে অর্নাস ১ম বর্ষ ইসলামের ইতিহাস বিভাগে পড়াশুনা শুরু করি।
আমার বাড়ী থেকে মাগুরা জেলায় গিয়ে প্রতিদিন কম্পিউটার ক্লাস করা কঠিন হয়ে যায় বিধায় আমার বাবা মা আমাকে মাগুরায় বাসা ভাড়া করে রেখে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দেয়। আমি সব কিছু ঠিক ভাবে চালিয়ে যাচ্ছিলাম এর মধ্যে গত ৫ নভেম্বর আকাশ বিদেশ থেকে বাড়ি চলে আসে এবং আমার লোকেশান খুঁজে বের করে আমার সাথে দেখা করে আকুতি মিনতি করে জানায় আমাকে ছাড়া সে কিছুতেই বাঁচবে না আত্মহত্যা করবে। আমি তাঁর কথায় ভুলে যাই, যেহেতু আমি তাঁকে প্রচণ্ড ভালো বাসি আমরা সিদ্ধান্ত নেই অভিভাবক ছাড়াই আমরা বিয়ে করবো।

গত ৭ নভেম্বর এ্যাডভোকেট হালিমের মাধ্যমে মাগুরা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে আমাকে কোর্ট ম্যারেজ বিয়ে করে। সে তার বাবার বাড়ি গ্ৰামে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য যে আকাশের বাবা সাজ্জাদ মোল্লা অনেক অর্থ প্রতিপত্তি শালী সে তুলনায় আমাদের পরিবার সাধারণ। আকাশের বাবা-মা আমাদের মেনে নেয় না আমাকে তাড়িয়ে দিতে বলে। ওদিকে আমার পরিবার আমার দিক থেকে একেবারে মুখ ফিরিয়ে নেয়। একদিন আকাশের বাবার বাড়ী থাকার পর আমাদের বাড়ী থেকে বের করে দেয়। আমরা স্বামী-স্ত্রী মাগুরায় পুলিশ লাইন পাড়ায় জনৈক ডাবলুর বাসা ভাড়া নেই এবং একসাথে বসবাস করতে থাকি। আকাশের পরিবারের লোকজন আকাশকে চাপ দিতে থাকে আমাকে তালাক দিতে তাদের কাছে ফিরে যেতে নইলে তাকে ত্যায্য পুত্র করে দিয়ে তাদের সকল সম্পদ আকাশের দুই বোনের নামে লিখে দিবে।
মাত্র ১ মাসের মাথায় আকাশ তার পরিবারের সাথে মিমাংশার কথা বলে গত ১১ ডিসেম্বর রাত অনুমান ৮ টার সময় আমাকে সাথে করে গ্ৰামে আমার বাবার বাড়ির কাছে অটো ইজিবাইক থেকে নামিয়ে দাড় করিয়ে রেখে একজনকে ডাকার কথা বলে চলে যায়। আমি অপেক্ষা করতে থাকি আসি আসি করে আর আসে না রাত বেশী হতে থাকে। এ সংবাদ পেয়ে আমাদের প্রতিবেশী কাকি সাংবাদিক মন্নুজান তিনি আমাকে আমাদের বাড়ীতে রেখে যান। উনি চলে গেলে আমাদের আরো আত্মীয় স্বজন এসে আমার পরিবারের সাথে মিলে আমাকে তাড়িয়ে দিয়ে আকাশের বাড়ির কাছে আমাকে ফেলে রেখে আসে। আকাশের বাবা-মা গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। যাতে আমি ঢুকতে না পারি, প্রচণ্ড শীতে বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে আমি জমে যেতে থাকি। এই দেখে আকাশের বাবার বৃদ্ধ চাচি আমাকে রাত ১ টার দিকে তার ঘরে আমাকে নিয়ে রাখে ( আনারুল মোল্লার বাড়ি)। আমাকে রেখে এসে আমাদের ভাড়া বাসায় যা কিছু ছিল সব নিয়ে আকাশ গাঁ ঢাকা দেয় ।
সবাই সিদ্ধান্ত নেয় আমাকে
তালাক দিয়ে দিবে এ কথা শুনে আমার পরিবারের লোক সাংবাদিকদের খবর দিলে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে আকাশে পরিবারের সাথে কথা বলে। এক পর্যায়ে আকাশের স্বজনেরা আনারুল ও ৫ নং ওয়ার্ডের কবির হোসেন মেম্বার আমতাআমতা কথা বলে। আকাশসহ তারা চ্যালেন্জ করে বলছে আইন তাদের কিছুই করতে পারবে না টাকা দিয়ে তারা আইন বিচার কিনে নেবে।

তাজমীন খাতুন আরও জানায়, আমাকে নিয়ে এই ছিনিমিনি খেলার কঠিন বিচার চাই ! আকাশ মোল্লা স্ত্রী হিসেবে স্বীকার না করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তাজমীন খাতুন।

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩২ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ
  • ১৬:১৯ অপরাহ্ণ
  • ১৮:০৬ অপরাহ্ণ
  • ১৯:২০ অপরাহ্ণ
  • ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ
©2020 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102