শাহীদুল ইসলাম কালু,শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুরের ৩টি আসনে প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর ভোটের মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে বর্তমানে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৫ এর স্থলে ৬ জন। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী এবং জাপার বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা স্ব-স্ব এলাকায় নির্বাচনী কেন্দ্র উদ্বোধনসহ পথসভা ও গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্য দিয়ে একদিকে ভোটাররা যেমন ভোট উৎসবে অংশ নিতে আগ্রহী হয়ে উঠছেন, অন্যদিকে তেমনি এলাকায় ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে নির্বাচনের আমেজ। সেইসাথে এলাকায় ভোটের হাওয়ায় বাড়ছে উত্তাপ। তবে এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী অপর ২ প্রার্থীর এলাকায় নেই যেমন অবস্থান, তেমনি ভোটের মাঠেও তাদের বিচরণ চোখে পড়ছে না- এমন চিত্রই
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, শেরপুর-৩ আসন শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯০ হাজার ৩৮ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৯৩ হাজার ১০২ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৪ জন। এ আসনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থীসহ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ,ডি,এম শহিদুল ইসলাম (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. সিরাজুল হক (লাঙ্গল), কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. সুন্দর আলী (গামছা), স্বতন্ত্র প্রার্থী ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম (ট্রাক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. ইকবাল আহসান (ঈগল)। এছাড়া উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান রাজা। তিনি কেতলি প্রতীক নিয়ে লড়বেন বলে জানা গেছে।
এ আসনে ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত
শ্রীবরদী উপজেলা এবং এ উপজেলার অধিবাসী হিসেবে
লড়ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম, দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান রাজা এবং জাপা প্রার্থী ও জাপার বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ৪ জন। অন্যদিকে ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ঝিনাইগাতী উপজেলার অধিবাসী প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম ও কৃষক- শ্রমিক-জনতা লীগ প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ভোটের সমীকরণে এগিয়ে আছেন। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী রাজার প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার বিষয়টি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর জন্য যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠতে পারে।এদিকে জাপার ২ প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রাজা যতোটা মাঠে সরব, ততোটা সরব তো নয়ই, বরং নিষ্ক্রিয় গামছার প্রার্থী। অন্যদিকে স্বাধীনতার পর থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলার কোন নেতাকে বড় কোন দল থেকে মনোনয়ন না দেওয়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নাইম আঞ্চলিকতার টান তুলে অগ্রসর হচ্ছেন। তিনি বিএনপি-জামায়াত ঘরানার ভোটারদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষের নেতা-কর্মীদের তার অনুকূলে টানার চেষ্টা করছেন। ফলে নির্বাচনের পরিবেশ শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু থাকলে এ আসনেটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শ্রীবরদী উপজেলা সাবেক সফল চেয়ারম্যান জননেতা জনাব, এ,ডি,এম শহিদুল ইসলাম ৭ তারিখে নৌকা বিজয় হবেন শত,শতভাগ সাধারণ ভোটাদের মাঝে আলোচনা । দলের বিদ্রোহী প্রার্থী এস,এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইমের মধ্যেই মূল লড়াই হবে- এমনটাই ধারণা করিতাছেন শ্রীবরদী- ঝিনাইগাতী সাধারণ জনগণ ।