অমল পালিত, যশোর
যশোরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে,বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক, আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে যেকোনো নাশকতা বরদাস্ত করা হবে না। নাশকতাকারীদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। কোনো কোনো মহল ভোট বাঞ্চাল করতে নাশকতা করতে পারে এমন সন্দেহ পুলিশের সকল ইউনিটকে কঠোর হস্তে মোকাবেলা করবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনী এলাকায় নাশকতা প্রস্তুতি অথবা নাশকতার কোনো আগাম তথ্য দিলে তথ্যদাতাকে পুরস্কৃত করা হবে। তথ্যের গুরুত্বের মূল্য বিবেচনা অনুযায়ী ২০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কিত করা হবে। এছাড়াও তিনি বলেন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচনের পরেও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিন খুলনা রেঞ্জের আওতাধীন ১০ জেলার এসপিদের সাথে নির্বাচনী নিরাপত্তা শীর্ষক সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন ।
২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে যশোর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইজিপি আরো বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তায় সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রুখে দিতে বাংলাদেশ পুলিশ প্রস্তুত। যশোরসহ বাংলাদেশের সব এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক-ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর প্রতি বিশেষ নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ । প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর তথ্য আপডেট করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রার্থীর দেয়া তথ্য ছাড়াও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। ৭ জানুয়ারি যাতে সব শ্রেণী পেশার মানুষ অবাধে এবং নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। আর একারণে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট বিভিন্ন স্তরে পেট্রোলিং করছে । অভিযান অব্যাহত রেখেছে। নির্বাচনী নিরাপত্তায় পুলিশের ৮০ শতাংশ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা নাশকতা অপ তৎপরতা চালালে কাওকে ছাড় দেয়া হবে না।
এসময় প্রেসব্রিফিংএ আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মইনুল হক। যশোর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারসহ ১০ জেলার এসপি ও উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ।