নিজস্ব প্রতিবেদক
মহামান্য আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখলে ব্যস্ত সময় পার করছেন সেলিম দেওয়ান নামে এক ব্যক্তি।
আশুলিয়ার ইয়ারপুর মনসন্তোষ মৌজায় মোঃ জসিম উদ্দিনের ক্রয়কৃত ২৭ দাগের ২০.৫০ শতাংশ জমি, সেলিম দেওয়ান ক্রয়কৃত মালিক দাবি করে জমি দখলের জন্য সংবাদকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার অভিযোগ করেছেন জসীম উদ্দীন।
সেলিম দেওয়ান যে সম্পত্তি ক্রয় করেছেন উক্ত জমি ৩০ দাগে নিচু জমি, একারণেই সে পাশের জসিম উদ্দিনের ২৭ দাগের সম্পত্তি নিজের দাবি করে ক্ষমতার অপব্যবহার দেখিয়ে উক্ত জমিতে সীমানা বাউন্ডারি করার চেষ্টা করছেন।
এবিষয়ে জসিম উদ্দিন উক্ত জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, মহামান্য আদালত জসিম উদ্দিনের পক্ষে রায় প্রদান করেন এবং সেলিম দেওয়ানকে উক্ত জমিতে না যাওয়ার জন্য ১৪৫ দ্বারা নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মহামান্য আদালত ।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সেলিম দেওয়ান উক্ত জমির বাউন্ডারি পাসির করার চেষ্টা সহ জসীম উদ্দীনকে ফাঁসাতে রাতের আধারে বাউন্ডারি নিজেরাই ভেঙে সংবাদকর্মীদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফিল্ম স্টাইলে জমিটি দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন সেলিম দেওয়ান ।
এমন অভিযোগ এনে বক্তব্য দিচ্ছেন মোঃ জসিম উদ্দিন, এবিষয়ে তিনি বলেন সেলিম দেওয়ান দীর্ঘদিন যাবত আমার ক্রয়কৃত উক্ত সম্পত্তি দখল করার জন্য বিভিন্ন ভাবে পায়তারা চালাচ্ছেন।
একারনেই উক্ত জমির বিষয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়, এবং উক্ত মামলায় সেলিম দেওয়ানকে উক্ত জমিতে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয় জমিতে কোন কাজকর্ম করিতে পারবে না মর্মে মহামান্য আদালত ১৪৫ দারা জারি করেন।
উক্ত আদেশ ভলবদ থাকা সত্ত্বেও উক্ত জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল করার জন্য চেষ্টা করছেন সেলিম দেওয়ান গং।
এবং আমাকে ফাঁসাতে রাতের আধারে তারা নিজেরাই ওয়াল ভেঙে বিভিন্ন মিডিয়াতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছেন। আমরা উক্ত সংবাদের এর বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উক্ত সংবাদে যে এলাকাবাসীর বক্তব্য দেয়া হয় সেই বক্তব্যগুলো সংবাদ কর্মীদের দেওয়ার আগে তাকে শিখিয়ে দেওয়া বক্তব্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রনি দেওয়ান।
উক্ত বিষয় সেলিম দেওয়ান এর কাছে সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি দেখান বিভিন্ন অজুহাত।
মহামান্য আদালতের রায় কে সম্মান জানিয়ে দুই পক্ষকে থানায় ডেকে নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে বিরতি থাকার জন্য সতর্ককরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অফিসার্স ইনচার্জ আশুলিয়া থানা।