মোঃ মিঠু মিয়া,গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা১০নং ইউনিয়ন ৮নং ওয়াড দক্ষিণ ঘাগোয়া (বড় বাড়ি) এলাকার সেকেন্দার আলী ভাইদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ঘরে থাকা ফ্রিজ, খাট, লেপ-তোষক, কম্পিউটার, আসবাবপত্র, ঘটিবাটি, বসতঘরসহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে তাকে বসতি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। বর্তমানে সে আশ্রয়হীন অবস্থায় পথে পথে ঘুরছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলার সদর উপজেলাধীন দক্ষিণ ঘাগোয়া ইউনিয় মৃত ছেবারত উল্লা ব্যাপারীর ছেলে সেকেন্দার আলী জীবিকার তাগিদে স্বপরিবারে ঢাকায় অবস্থান করেন। বাড়ি ঘর দেখাশোনা করার জন্য মাঝে মাঝে ঢাকা থেকে গাইবান্ধা আসেন। ৪রুম বিশিষ্ট টিনের এল প্যাটার্ন ঘরটি চার রুম বিশিষ্ট। উক্ত রুমে থাকা তিনটি খাট, একটি কম্পিটার, একটি এলইডি টিভি, ২ ভরি স্বর্ণের অলংকার, সংসারের হাড়িপাতিল, বালতি ইত্যাদি, ঘর নির্মাণের জন্য ২মণ লোহার রড, দুই হাজার ইট, পাঁচ বস্তা সিমেন্ট অন্যান্য মালামালসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল গত ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর বিকাল অনুমান ৫টায় টিনের ঘরের বেড়া কেটে তার আপন ভাই মোঃ মতিয়ার রহমান (৬৫) এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দলবদ্ধ হয়ে লুট করে নিয়ে যায়। এই খরব সেকেন্দার আলী মোবাইল মাধ্যমে জানতে পারেন। তিনি তখন ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। পরে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর গাইবান্ধার বাড়িতে এসে দেখেন টিনের চালাটা শুধু মাটিতে পড়ে আছে। আর কিছু অবশিষ্ট নেই। খুঁটি পর্যন্তও খুলে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। এই দৃশ্য দেখে তিনি হতভম্ব হয়ে যান। এ ব্যাপারে ভাই মতিয়ার রহমানকে জিজ্ঞাসা করতেই সে মারমুখী হয় এবং হাঁকডাক শুরু করে তার পক্ষের লোকজনকে ঢাকাডাকি করে। তৎক্ষণাৎ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে খুশু, মোজাফফ্র, আনিছুর, খাজা মিয়া, মামুন মিয়াসহ ১০ বারো জনের একটি সংঘবদ্ধদল সেকেন্দার আলীর উপর হামলে পড়ে এবং বেধড়ক মারপিট করে আহত করে তখন আশপাশের লোকজন এসে সেকেন্দার আলীকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জীবনে রক্ষা করে। মতিয়ার হুংকার দিয়ে বলে ‘তুই এই বাড়িতে আর কখনই আসবি না, ‘তোর কোন জায়গা জমি এখানে নাই। আবার যদি আসিস তবে তোকে এখানেই পুঁতিয়া ফেলিবো’ বলিয়া শাসনগর্জন করে ও জীবন নাশের হুমকি দিয়ে মতিয়ার রহমানসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ওই দিন সেকেন্দার আলী সাক্ষী লোকজনের সহায়তায় মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় ১। মোঃ মতিয়ার রহমান (৬৫), ২। মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে খুশু মিয়া (২৮), ৩। মোজাফ্ফর (৩১), ৪। আনিছুর রহমান (২৬), ৫। খাজা মিয়া (২৯), ৬। মামুন মিয়া (২৫) এবং ৭। মৃত মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী আনোয়ারা বেওয়া (৫৫), ৮। মতিয়ার রহমানের স্ত্রী জোবেদা বেগম (৫৮), ৯। মৃত মোসলেম উদ্দিনের মেয়ে মোছাঃ মোসলেমা বেগম (৩০), ১০। আব্দুর রহমানের ছেলে জীবন মিয়া (২৬), ১১। ইব্রাহীম মিয়া (২৮), ১২। ইব্রাহীম মিয়ার স্ত্রী রেবেকা বেগম (২৫), ১৩। মোঃ বাবলু মিয়ার ছেলে এরশাদ মিয়া (২৮) খুশু মিয়ার স্ত্রী দুলালী বেগম (২৪) কে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তাধীন। বর্তমানে সেকেন্দার আলী সহায়-সম্বল হারিয়ে ভাসমান অবস্থায় জীবন যাপন করছেন এবং আসামীরা যে কোন সময় তাকে প্রাণে মেরে ফেলতে পারেন বলে সেকেন্দার আলী জানান।
প্রশাসনকে মামলার যথাযথ তদন্ত করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আমার পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাই
এবং সবার মতামত এরা খুব ভয়ংকর প্রকৃতির লোক এরা এলাকার ভিতরে কাউকে ভয় করে না জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।