মো. রুহেল আহম্মেদ, বিশেষ প্রতিনিধি:
বরেন্দ্র সভ্যতার প্রাচীন লীলা ভূমি বারবাকাবাদ পরগনার কেন্দ্রবিন্দু প্রাচীন শিক্ষা নগরী ও টাকশাল নগরী মাহিসন্তোষের দক্ষিণ পার্শে আত্রাই নদীর পূর্বকোল ঘেঁষে চিরহরিৎ অরণ্যে ভরা কৃষিসমৃদ্ধ জনপদ নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার বীরগ্রামের এক অভিজাত মুসলিম পরিবারে ১২ ডিসেম্বর ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন মো. শহিদুজ্জামান সরকার। পিতা: মৃত: আমজাদ হোসেন সরকার, দাদা মৃত: আব্দুর রহমান সরকার উভয়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
মো. শহীদুজ্জামান সরকার নিজগ্রামে প্রাথমিক ও মল্লিকপুর স্কুল থেকে মাধ্যমিকে উত্তির্ন হয়ে উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হন। তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে সেখান থেকে আইন বিষয়ে বি,জুর(সন্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। এবং আইন ব্যবসায়ে দিয়ে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন।
এ্যাডভোকেট মো. শহীদুজ্জামান সরকার ১৯৯১ সনে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বপ্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০০৯ সনে মো. শহীদুজ্জামান সরকার ৪৭, নওগাঁ- ২ (ধামইরহাট পল্লীতলা) আসনে দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এসময় তিনি তার উপর অর্পিত দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সহিত পালন করেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০১৪ সনে মো. শহিদুজ্জামান সরকার আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ও পরে তিনি ১৪ জুন জাতীয় সংসদের মাননীয় হইপের দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৮ সনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদে আসনের উন্নয়নের লক্ষ্যে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। ১৪ জুন জাতীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাপতি দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
৪৭, নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্নীতলা) আসনে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বৈধ প্রার্থী আমিনুল হক গত ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যু বরণ করার কারণে নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন স্থগিত ঘোষনা করা হয়।
এ আসনে গত ১২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আসনে এ্যাডভোকেট মো. শহীদুজ্জামান সরকার ৫ম বারের মত জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. সামসুল হক টুকু, হুইপ ইকবালুর রহিম ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন নেতা এ্যাডভোকেট মো. শহীদুজ্জামান সরকার কে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।
ধামইরহাট-পত্নীতলা আসনে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে এ্যাডভোকেট মো. শহীদুজ্জামান সরকারে বিকল্প নেই। আসনটি টানা ১৫ বছর ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দখলে। গত ১৫ বছরে এই অঞ্চলে অভূতপূর্ব অবকাঠামো উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ধামইরহাটে একটি সরকারী কলেজ, একটি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আই.এইচ.টি) এবং নিজ উপজেলা থেকেই (এমবিএ) উন্নত শিক্ষা গ্রহণ করা সুযোগ। রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন, গ্রামীন সড়ক পাকাকরণ, প্রান্তিক পর্যায়ে বিদ্যুতায়ন, স্কুল-কলেজ, মাদরাসায় নতুন ভবন নির্মানসহ দৃশ্যমান উন্নয়ন মানুষের চোখে-মুখে। আর এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ্যাডভোকেট মো. শহীদুজ্জামান সরকারকে পিপুল পরিমাণ ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পঞ্চম বারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মো. শহীদুজ্জামান সরকারের দীর্ঘ কর্মজীবন জনসম্পৃক্ততা এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পণ করেন। সরকারের ধারাবাহিকতা ও সংসদীয় আসনের ধারাবাহিকতায় এলাকায় নব উদ্যমে আরো ব্যাপকভাবে উন্নয়ন হবে বলে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা।