মো: লিটন উজ্জামান বিশেষ প্রতিনিধি :-
কুষ্টিয়ার মিরপুরে বেশির ভাগ বাজারে বিআরপি ভেজাল কীটনাশকে সয়লাব হয়ে গেছে। মানহীন বিআরপির কীটনাশক জমিতে প্রয়োগ করেও সুফল মিলছে না। এ অবস্থায় পোকার আক্রমণ ঠেকাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। তাঁদের অভিযোগ, কৃষি অফিসের তদারকি না থাকায় ভেজাল কীটনাশকে ছেয়ে গেছে।
জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন বাজারে উৎপাদনকারী বিআরপি নকল ব্র্যান্ডের কীটনাশক বিক্রি হচ্ছে। বাজারে তুলনামূলকভাবে দাম কিছুটা কম ও চকচকে মোড়ক দেখে আসল, না নকল; যাচাই না করেই কীটনাশক কিনছেন কৃষকেরা। তাই বাজারে এখন ভেজাল কীটনাশকের ব্যবসা রমরমা।এই কীটনাশক বিক্রি করে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে বিআরপি এগ্রো কোম্পানির মালিক পিয়ার আলী। নকল কীটনাশকের পরীক্ষা করার ল্যাব উপজেলা পর্যায়ে না থাকায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকছে এসব কোম্পানি।
বিআরপি এগ্রো কোম্পানির দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভেজাল কীটনাশকের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। কৃষকদের এসব নকল ও ভেজাল কীটনাশক চেনার কোনো উপায় নেই। ফলে কৃষকেরা নকল ও ভেজাল কীটনাশক ব্যবহার করলেও পোকামাকড় ও বালাই দমনে তা কোনো কাজে আসছে না। যার কারণে কৃষকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতির মধ্যে পড়ছেন।’
বিআরপি এগ্রো কোম্পানির প্রোপাইটার পিয়ার আলীর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার কোম্পানির কীটনাশক ভেজাল না আমি কোন কোম্পানির মাল ভেজাল করি না আমার উপর মহলের লোক আছে আপনারা যা পারেন করেন।
মিরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুন বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে ভেজাল কীটনাশকের সত্যতা পাওয়া যায়। নকল কীটনাশক বাজারের বিক্রি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জরিমানাসহ কীটনাশক জব্দ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভেজালের সত্যতা পাওয়া যায়।কতজন কৃষক এ ভেজাল কীটনাশক ব্যবহারে ক্ষতির শিকার হয়েছেন এর সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। ভেজাল কীটনাশক বিক্রি বন্ধ এবং কৃষকদের বাঁচাতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।