নাগরপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইল নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের বাদে ভূগোলহাট মধ্য সরকারি প্রাঃ বিদ্যালয় পড়া লেখার মান যেনো শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। (১০ ডিসেম্বর) প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করে।(৫ম) শ্রেণীর মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ১৭ জন (৪ম) শ্রেণীর মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৩৫ জন, (৩ম) শ্রেণীর মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ১২ জন (২ম) শ্রেণীর মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ২৬ জন এবং (১ম) শ্রেণীর মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ২২ জন। যা অন্য স্কুলের চেয়ে অনেক কম।পড়া লেখার মানও অনেক খারাপ। পরীক্ষার রেজাল্ট দেখা যায় প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী পাস করলেও, অভিভাবকরা বলছে অন্য কথা। তিনারা বলেন এই স্কুলে পরীক্ষার সময় কিছু শিক্ষার্থীদের মা ক্লাস রুমে ডুকে শিক্ষার্থীদের লিখে দেয়। যা একিবারেই অন্যায়। দেখা গেছে যেসব শিক্ষার্থীদের মা ক্লাসরুমে গিয়ে লিখে এবং বলে দিয়েছে তাদের রোল নাম্বার প্রথম দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হয়েছে। প্রধান শিক্ষকে প্রশ্ন করা হয় তাহলে কি সবাই অটো পাস তিনি প্রশ্নের তেমন কোন উত্তর দিতে পারেন নি।এই স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়িয়েও অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন যা কিনা সরকার থেকে নিষিদ্ধ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা খসড়া অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে পাঠদানের জন্য কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা নিষিদ্ধ বলে গণ্য হবে না। তবে কোচিং সেন্টারে কোনো শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাতে পারবেন না। এমনকি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেটও পড়াতে পারবেন না। কোচিং চালাতে গেলে নিবন্ধন নিতে হবে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মাসের পর মাস শিক্ষার্থীদের স্কুলে ক্লাসের মধ্যে প্রাইভেট পড়ানো হয়। রেজাল্ট প্রকাশের সময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট শুনে অভিভাবকরা এক প্রকার ক্ষোভ প্রকাশ করে। যা অভিভাবকদের মধ্য এক প্রকার আলোচনার সৃষ্টি হয়।তিনারা অভিযোগ করেন কিছু শিক্ষার্থীর মা পরীক্ষার সময় ক্লাসরুমে লিখে দিতেন এবং শিখিয়ে দিতেন। দেখে গেছে সেই শিক্ষার্থীগুলাই প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে।