স্টাফ রিপোর্টার, হাসমত
কালিয়াকৈর রেঞ্জের বাড়ই পাড়া বিট কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জয়ের বিরুদ্ধে সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থ আত্মসাৎ ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় এক নারী অঞ্জনা আক্তার বাবলির বিরুদ্ধে জমি ও বাড়ি নির্মাণ নিয়ে জয় ও তার সহযোগীরা হুমকি ও হয়রানির মাধ্যমে টাকা আদায় করেছেন। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগের বর্ণনায় জানা যায়, অঞ্জনা আক্তার বাবলি কালিয়াকৈর থানার উলুসারা এলাকায় নিজের দুই শতাংশ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছিলেন। তার জমির পাশে বন বিভাগের কিছু জমি থাকায় বন বিট কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জয় দালাল রুবেলের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে অঞ্জনার কাছ থেকে মোট সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করেছেন। এ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। এ ছাড়া জয় ও তার সহযোগীরা আরও তিন লাখ টাকা দাবি করে অঞ্জনাকে হুমকি দিয়েছেন যে, টাকা না দিলে তার বাড়ি ভেঙে দেওয়া হবে।
অঞ্জনা আক্তার বাবলি বলেন, “শুধু টাকা আদায়ই নয়, মহিবুবুর রহমান জয় আমাকে অসদুপায়ে প্রস্তাবও দিয়েছেন। আমি এই বিষয়ে বিচার চাই।” এ ঘটনায় তিনি ইতিমধ্যে কালিয়াকৈর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক মোঃ মনির এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মাহবুবুর রহমান জয় ট্রেনিংয়ে ছিলেন। আমরা তার সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।” তবে সরেজমিনে বাড়ই পাড়া বিট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, মাহবুবুর রহমান জয় ডিউটিরত অবস্থায় রয়েছেন। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান ও ব্যস্ততা দেখিয়ে সেখান থেকে চলে যান। পরে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব বিষয়ে আপনার কাছে কি প্রমাণ আছে। আপনার যদি আমার বক্তব্য প্রয়োজন হয় আমার সামনে এসে বক্তব্য নেন।
এলাকাবাসীরা জানান, নিজ জমিতে বাড়ি নির্মাণ করতে গেলেও বন বিভাগের কর্মকর্তারা বিভিন্ন অজুহাতে টাকা আদায় করেন। টাকা না দিলে বাড়ি ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, প্রশাসন যেন এই বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়।
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন। এই ঘটনায় প্রশাসনের তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবি। [ পর্ব – ১ ]