রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে রেলওয়ের জায়গা উদ্ধারে অভিযান ভেড়ামারা মহিলা সরকারী মহাবিদ্যালয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত যশোরের বেনাপোল রেল স্টেশন পরিদর্শন করেন রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন ভারত যাওয়ার সময় রংপুরের আঃলীগ নেতা আনিছুর রহমান গ্রেফতার  কুমিল্লার হোমনায় বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ দুই মাদক আটক যশোর চৌগাছায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু কুমিল্লায় দুই মাদক ব‍্যবসায়ীকে আটক করেছে র‍্যাব-১১,সিপিসি-২  জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে উপজেলা দিবস ও উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত  কুমিল্লা-২ আসনের সম্ভাব‍্য সংসদ সদস‍্য পদপ্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক লিটু রিভায়রা গ্রুপের পরিচালকের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রতিটি ব্যক্তির মূল দায়িত্ব ও বাস্তবতায় বিস্তর ফারাক! [ ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশনে অবৈধ কর্মকাণ্ড ]

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধানী বিশ্বাস প্রতিবেদন ( এস হোসেন মোল্লা )

পুলিশ ফাঁড়ীর ভদ্রবেশী ইন্সপেক্টর সুনীল জানান, “এখানকার ভ্রাম্যমাণ দোকানের বিষয়ে আমি বড়ো স্যারদের জানিয়েছি,যা করার তারাই করবেন। আমার কিছুই করার নেই।আপনারা যা ইচ্ছে লিখতে পারেন এতে কিচ্ছু যায় আসে না!”গোপন সুত্রে জানা যায়, এই সুনীল নতুন এসেই নিরলস প্রচেষ্টায় সমস্ত অপকর্ম ও চাঁদাবাজী গুঁছিয়ে নিজ আয়ত্ত্বে এনেছেন। সেই সাথে কিছু কুখ্যাত হলুদ সাংবাদিকদের নিয়মিত উপরি দিয়ে কেনা গোলাম বানিয়ে নিয়েছেন।গোপন সুত্রে সেই সাংবাদিকদের সম্পর্কে জানা যায় — তারা নাকি বড়ো মাপের স্বনামধন্য সাংবাদিক হিসেবেই পরিচিত!তাদের ভয়াবহতার প্রভাবে অন্যকোন সাংবাদিকই উক্ত এলাকার অপকর্মের বিষয় নিয়ে লেখার সাহস টুকুও পাননা।যদিও তারপরও কেউ কিছু লিখার চেষ্টা বা দু:সাহস দেখান তাহলে তাকে আচানক ভয়াবহ বিপদে ফেলে এলাকা ছাড়া করতে এই কুখ্যাত সাংবাদিক নামের পোষা কুকুরই নাকি যথেষ্ট! এরা হলেন– দুর্নীতি রিপোর্ট ও দৈনিক তালাশ প্রতিদিনের ক্রিমিনাল শাহিন,মুক্ত বাংলা পত্রিকার বাটপার রনি,দৈনিক বাংলাদেশ পরিক্রমার পরিচয়ধারী ভন্ড দাড়িয়া কামাল এবং পুংটা আনিস!জানা যায়, বহু বছর ধরে উক্ত এলাকার পতিতা ও হিজড়াদের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে সুযোগ বুঝে তাদের সাথে অসামাজিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে এমনকি বিভিন্ন অপকর্মে বাধ্য করতে মহাপটু এই তথাকথিত কুখ্যাত সিনিয়র সাংবাদিক পুংটা আনিস। এদের প্রায়ই উক্ত স্থানে দেখা গেলেও সেখানকার সহজে দৃশ্যমান অনিয়মের খবর প্রকাশ করতে দেখা যায় না। বরং বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত চাঁদাবাজীসহ জানা-অজানা বহু অপকর্মে সহায়তা করে অবৈধ আয় রোজগারে রহস্যপুর্ন আজব জীবিকা নির্বাহ করেন এই ক’জন তথাকথিত সাংবাদিক নামের ইতর উপাধির গুঞ্জন অর্জনকারী ভয়ঙ্কর দু’পায়া প্রাণীগুলো! বিমানবন্দর রেল স্টেশনের দুর্নীতিবাজদের সাথে মানিকজোড় সম্পর্ক এসব সাংবাদিক নামের সাংঘাতিকদের।সেখানে চলছে চরম দুর্নীতিবাজ ও হলুদ সাংবাদিক চক্রের সম্মিলিত নৈরাজ্য!

দেখা গেছে , সেখানে প্রায় ৫০/৬০ টা দোকান বসে।রোজ দোকান প্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা নেয় এই মাতাল ফারুক। এদের নাকি মাস্তান বাহিনীও আছে। সেই সাথে সার্বিক সহযোগীতায় আরও আছে সরকারি নিরাপত্তা ও পুলিশ বাহিনী।প্রায়ই ক্ষেত্রে এই বাহিনীকে কঠোর নিরাপত্তায় দোকানীদের বিভিন্ন সহায়তা করতেও দেখা গেছে। এক কথায়, নির্ভয়ে ও বীরদর্পে সকল অপকর্ম চলছে প্রকাশ্যেই! এখানকার সরকারি চাকুরে,বিভিন্ন নেতা-মাস্তান ও সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজ ও সাংবাদিক নামধারী কালো হাতের সম্মিলিত চক্রান্তে উল্লেখিত সকল অনিয়ম-দূর্নীতি দিনে কিংবা রাতে নিয়মিত চলছে।অপেক্ষামান যাত্রীরা ভিষণ আতংকিত।অনেকেই বলেন, এখানে আরএনবি ও জিআরপির সদস্য থাকার পরও যদি এতো অঘটন ঘটে তাহলে তাদের থাকার প্রয়োজন কি? আর স্টেশন মাস্টারের রুমে প্রায়ই তালা লাগানো থাকলে অভিযোগ কোথায় বা কার কাছে দেবো ?

গোপন অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, এই নেশাখোর-মাতাল ফারুক রোজ ফুটপাথের দোকানের চাঁদা তুলে একটি অংশ দেয় এএসআই মনিরকে।মনির সেই টাকা এসআই শফিকের হাতে দেন। চাঁদার আরেক অংশ ফারুক দেয় মল্লিককে। মল্লিক দেন তারই সিনিয়র সিরাজের হাতে। চাঁদার আরও একটি অংশ ফারুক সরাসরি দেয় পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সুনীলের হাতে। এই স্টেশনের সতর্ক চাঁদাবাজের নাম বাইট্টা করিম। যার দেখা পাওয়া বড়ই সাধনার ব্যাপার। যদিও সে দিনে দু’বার ফেরি করা ব্যাবসায়ীদের থেকে জোরপূর্বক টাকা তুলে সুনীলের দরবারে দেয়। রোজ সন্ধ্যা হলেই নিষ্পাপ চেহারার সুনীল আচানক হিংস্র ও ভয়ানক ভাবমূর্তি ধারণপূর্বক নানান কায়দায় ঝটপট সমস্ত অবৈধ তথা পাপের টাকা পই পই করে বুঝে নিয়ে তবেই সেই ব্যাবসায়ীদের প্রতি সুনীল খোলা আকাশের মত মহানুভবতা প্রকাশ করেন!

জনমনে ভাবনা ও প্রশ্ন, ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশনের যাত্রীরা কতটুকু নিরাপদ ? স্টেশনের সমস্ত অপরাধীসহ আরএনবি ও জিআরপির অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না কেন ?প্রশাসন কেন নিরব কেন ? তাহলে আইন কি সবার জন্য সমান নয় ? আমরা কি মগের মুল্লুকের দেশেই বাস করি ? এমন ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কেন দায়ী হচ্ছেনা ? বিভিন্ন গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা কি এসব দেখে না?

এই সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে উক্ত অনিয়ম ও সিন্ডিকেটে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তদন্তের মাধ্যমে হাতে নাতে ধরাশায়ী করে আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ সমস্ত সচেতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষন করা হচ্ছে ।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
স্বত্ব © ২০২৫ দৈনিক সত্য প্রকাশ
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102