নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলে ৯নং জামদিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম থেকে, কয়েদিনের ব্যাবধানে তিন জনের বাড়ি থেকে, কয়েক লাখ টাকার গরু চুরি ঘটনা ঘটেছে। এতে করে দিন দিন গরু চোরের উৎপাত বেড়েই চলেছে। স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ দিয়েও মেলেনি কোন প্রতিকার।
গত ১ডিসেম্বর শুক্রবার রাত আনুমানিক ১/২টায় উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের বাররা গ্রামের মো.রবিউল ইসলামের বাড়ী থেকে আনুমানিক তিন লাখ টাকার মূল্যের দুটি গরু চুরি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়া ঘটনার সত্যতা মিলেছে। গরুর মালিক সাংবাদিককে বললেন অনেক কষ্টের সম্পদ আমার,কে বা কারা চুরি করে নিয়ে গেল।ধারদেনা ও লোণ করে গরু কিনলাম ভাগ্য বদল করার জন্য তা আর হলো না, এক রাতেই তা ভেঙ্গে তচনছ হয়ে গেছে। তার অভিযোগ স্থানীয় লোকের ষড়যন্ত্রে আমার গরু চুরি হয়েছে।
এর মাত্র দুই দিন আগে ইউনিয়নের ১১ খানের ঘোড়ানাছ গ্রামের বিকাশ ভৌমিকের বাড়ির সামনের সড়কের উপর বাধা গরু দিনের বেলায় চুরি হয়েছে। এড়ে গরু যার আনুমানিক মূল্য ষাট হাজার টাকা। বিকাশের অভিযোগ গরু ব্যাবসায়ীরা তার গরু গাড়িতে করে নিয়ে গেছে।
এরও কিছুদিন আগে ইউনিয়নের নিত্যানন্দপুর গ্রামের মো.ওমর আলী মোল্লার একই কায়দায় বাড়ির নিকট সড়কের উপর থেকে দিনের আলোকে অভিনব কায়াদায় একটা এড়ে গরু চুরি হয়ে যায়, কিন্তু আজ পর্যন্ত এসমস্থ গরুর কোন হদিস পাওয়া যায় নি।
বাররার রবিউল স্থানীয় ভিটাবল্লা পুলিশ ক্যাম্পে একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।এলাকার বিশিষ্টজনের মতে এলাকায় একটা বড় ধরনের সংঘবদ্ধ গরু চোর সিন্ডিকেট কাজ করছে।অপর একটা সুত্র বলছে এ গরুচোর সিন্ডিকেটের সংগে বহিরাগত ফেরিওয়ালাদের যোগসুত্র আছে বলে মনে করেন তারা। এব্যাপারে প্রশাসনকে একটু জোরালো ভূমিকা নিতে হবে তা না হলে দিন দিন এসমস্থ এলাকায় গরু চুরির মত আরও বড় ধরনের চুরি সংগঠিত হবে। গরু চুরির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে,ভিটাবল্লা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ, এসআই মদহিদুল ইসলাম বলেন আমাদের পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।