বিশেষ প্রতিনিধিঃ শাহীন আলম জয়।
মাগুরার বিভিন্ন উপজেলায় গ্রামীণ নারীদের মধ্যে কুমড়ো বড়ি তৈরির হিড়িক পড়েছে। শুরু হয়েছে সুস্বাদু কুমড়ো বড়ি তৈরির প্রতিযোগিতা। এ সময়ে বিভিন্ন গ্রামের নারীরা সুস্বাদু কুমড়ো বড়ি তৈরি ও বাজারজাতকরনের সঙ্গে জড়িত হয়। এসব পরিবার শুধু শীত মৌসুমের পুরোটা সময় কুমড়োর বড়ি তৈরির উদ্দেশ্য বাড়তি আয়।
বাড়ির নারীরাই মূলত বড়ি তৈরি করে। পুরুষরা বাজারজাত করে থাকেন। মাষকলাই পানিতে ভিজিয়ে নরম করে তার সাথে পাকা বা বুড়ো চালকুমড়া পাটায় বেটে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বড়া তৈরি করে রোদে শুকানো হয়। বাড়ির আঙিনায় সারি সারিভাবে কুমড়া বড়ি তৈরি করে রোদে শুকাতে দেয়া হয়।বড়িগুলো সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলে সেগুলোকে বাজারে তুলে বিক্রি করা হয়ে থাকে। বাজারে কুমড়ো বড়ির কদর থাকায় পরিবারগুলো বাড়তি আয়ের সুযোগ পেয়ে থাকে। স্থানীয় বাজারে সুস্বাদু হিসেবে কুমড়ো বড়ির বেশ কদর রয়েছে।
ভোক্তারা বাজার থেকে কুমড়ো বড়ি কিনে এনে তেলে ভেজে বিভিন্ন তরকারিতে দিয়ে রান্না করে খেয়ে থাকেন। কুমড়ো বড়ি দেয়া তরকারি বিশেষ স্বাদের হওয়ায় বহু মানুষ এ বড়ি পছন্দ করে থাকেন।
সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের মেহের বেগম জানান, এই বড়ি তৈরিতে বুড়ো চালকুমড়া আর মাষকলাইয়ের ডাল লাগে। মাষকলাইয়ের ডাল ছাড়াও অন্য ডালেও তৈরি হয় এ বড়ি। রোদে মচমচে করে শুকালেই এর ভালো স্বাদ পাওয়া যায়।
একই এলাকার আয়েশা খাতুন জানান, এই শীতের সময় বড়ি তৈরী করেন। নিজেরা খাওয়াসহ আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও পাঠান।
কুমড়োর বড়ি তৈরির কারিগর মনোয়ারা,রাবেয়া, শাহানুর জানান, অনেক পরিশ্রম জড়িত রয়েছে কুমড়োর বড়ি তৈরিতে। রাত জেগে শীল-পাটায় কেজি কেজি ডাল বাটা সহজ কাজ নয়। তবুও পেটের তাগিদে অনেক কষ্ট করে আমাদের কুমড়োর বড়ি তৈরি করতে হয়। শীত মৌসুমে এ বড়ি তৈরি করে সংসারে বাড়তি আয় কিছু করা সম্ভব হয়।
মাগুরার বাজারে কুমড়োর বড়ি বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, কুমড়োর বড়ি তৈরি এবং বিক্রির ব্যবসা করে শীতকালে আমাদের ঘরে মোটামুটি একটা আয় আসে। বাজারে কুমড়ো বড়ির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। আশপাশের অনেক এলাকা থেকে বহু মানুষ আমাদের বাজার থেকে কুমড়োর বড়ি কিনে নিয়ে যায়।