নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর সাপাহারে গায়ে জোর খাটিয়ে নিশ্চিন্তপুর দুর্গা মন্দিরের নামের পুকুর ব্যক্তিস্বার্থে ভোগ দখল করে নিয়েছে বলে সুচতুর শ্রী কিশোরী হাজরার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সর্বজনীন সনাতন ধর্মালম্বীদের সাপাহারের নিশ্চিন্তপুর দুর্গা মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতির মৃত্যুর পরে দীর্ঘ ৮ বছর আগে গ্রামবাসী মিলেমিশে নিশ্চিন্তপুর দুর্গা মন্দির কমিটি করে পরিচালনা করে আসছে, এছাড়া আর কমিটি গঠন হয়নি, এমতাবস্থায়, বার বার কমিটি গঠন করতে বলা হলেও ব্যক্তি স্বার্থে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত গোপিকান্ত হাজরা এর সন্তান সুচতুর শ্রী কিশোরী হাজরা নানা অজুহাত কালক্ষেপণ করেন। নিশ্চিন্তপুর দুর্গা মন্দির উন্নয়নকল্পে নিশ্চিন্তপুর মৌজার ১৯৭ নং একটি সরকারি খাস পুকুর, উপজেলা খাস পুকুর বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষ থেকে দুর্গা মন্দিরের নামে প্রদান করা হয়েছে। উক্ত পুকুরটি বিবাদী শ্রী কিশোরী হাজরা ব্যক্তি মালিকানা পুকুর হিসেবে ভোগ দখল করে খাচ্ছে। এদিকে কুকুরের আয় ব্যয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য দূর্গা মন্দির কমিটি কিংবা সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সমাজের নিকট প্রদান করতে বললে গায়ের জোর খাটিয়ে পাশ কাটিয়ে চলে যায় এবং নানা রকমের হুমকি ধামকি ও ভয়-ভীতি দেখায়।
এঘটনায় বাদী হয়ে নিশ্চিন্তপুর গ্রামের শ্রীচরণ মালীর ছেলে শ্রী রতন মালী নিশ্চিন্তপুর দুর্গা মন্দিরে পক্ষে সুচতুর শ্রী কিশোরী হাজরার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
এবিষয়ে বাদী শ্রী রতন মালীর সাথে কথা তাহলে তিনি জানান, মন্দিরের নামে পুকুরটি শ্রী কিশোরী হাজরা ব্যক্তি মালিকানা হিসেবে ভোগ দখল করে খাচ্ছে। পুকুরের আয় ব্যয় সংক্রান্ত মন্দিরের পক্ষে আমি হিসাব জানতে চাইলে আমাকে নানা রকম হুমকি ধামকি ভয় ভীতি দেখায়, নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে অভিযোগ দায়ের করেছি।
এঘটনায় বিবাদী সুচতুর শ্রী কিশোরী হাজরার সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করতে চাইলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।